ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারছেন না পুরানো টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ছোট ইনিংস খেলে সবশেষ বিদায় নিলেন মুশফিকুর রহিম। ১৪ রান করে শারমন লুইসের কাছে বোল্ড হন তিনি। প্রথম দিন ৮০ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৭ রান স্বাগতিকদের। ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
দ্বিতীয় সেশনে মোহাম্মদ মিঠুন ও সাদমান ইসলাম আউট হলে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিক। চা-বিরতির পর শুরুতেই তাকে ফিরতে হলো শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের পরিবর্তে দলে ঢোকা শারমনের কাছে।
অন্যদের ব্যর্থতার দিনে শুরু থেকে একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাদমান। সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হকের সঙ্গে বড় জুটি না হলেও অভিষেক টেস্টে হাফসেঞ্চুরি পেয়ে যান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৩৬ রানে লাঞ্চে যাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় সেশনে করেন হাফসেঞ্চুরি। ১৪৭ বল খেলে ৪টি চারে পঞ্চাশ ছোঁন সাদমান। কিন্তু বিশুর স্পিনে ৭৬ রানে বিদায় নিতে হয় তাকে। তার ১৯৯ বলের লম্বা ইনিংস সাজানো ছিল ৬ চারে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় বলে সাদমান বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলেন। সৌম্য সরকার অন্যপ্রান্তে ঝুঁকি নিয়ে খেলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত রোস্টন চেজের বলে দুর্বল শটে স্লিপে শাই হোপের ক্যাচ হন এই ওপেনার। ভাঙে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১৯ রানে বিদায় নেন সৌম্য।
মুমিনুল ক্রিজে নেমে গতিময় ব্যাটিং করতে থাকেন। কিন্তু রোচের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে চেজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন চট্টগ্রাম টেস্টের ম্যাচসেরা ক্রিকেটার। ৪৬ বলে ২ চারে ২৯ রান করেন মুমিনুল। সাদমানের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান তিনি। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ব্যাট করতে নামেন মিঠুন। লম্বা কোনও ইনিংস খেলতে পারেননি, ২৯ রানে আউট হন। তার আগে সাদমানের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
মিঠুনকে ফিরিয়ে দেবেন্দ্র বিশু তার পরের ওভারে সাদমানকে থামান। এলবিডাব্লিউর শিকার হন বাঁহাতি ওপেনার।
বাংলাদেশ এই ম্যাচের জন্য একাদশ সাজিয়েছে পেসার ছাড়াই। এই প্রথমবার কোনও পেসার না নিয়েই টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। চোট পেলেও মুশফিকুর রহিম একাদশে আছেন, কিন্তু উইকেটরক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে লিটন দাসের।