বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন শুভাগত হোম। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১৬ বলে পঞ্চাশ ছোঁন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের এই ব্যাটসম্যান। তিনি ভেঙেছেন মুমিনুল হকের ১৯ বলে ফিফটির রেকর্ডকে। তার এই দুর্দান্ত ইনিংসে মোহামেডানকে ১৯৩ রানের টার্গেট দেয় শাইনপুকুর এবং ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ২২ রানে। গ্রুপের দুটি ম্যাচই জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে তারা।
মঙ্গলবার ১৬তম ওভারে ক্রিজে নামেন শুভাগত। ওই ওভারের শেষ বলে নিহাদুজ্জামানকে চার মারেন। শুরু হয় তার বিস্ফোরক ব্যাটিং। পরের ওভারে আলাউদ্দিন বাবুর বলে মারেন একটি করে চার ও ছয়। এরপর কাজী অনিককে হতাশায় ভাসিয়ে তিনটি বিশাল ছয় মারেন শুভাগত। ইনিংসের শেষ ওভারে মোহামেডানের এই বোলারের ওপর আবারও চড়াও হন তিনি। চতুর্থ বলে লং অনে ছয় মেরে রেকর্ড নিজের করে নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
১৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছয়ে শুভাগত ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শুভাগত। আগের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে মাত্র ১০ বলে ৩ ছয়ে ৩২ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আগের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মুমিনুল ‘এ’ দলের হয়ে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে জাতীয় দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের চ্যালেঞ্জ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
শুভাগতর ঝড়ো ৫৮ রানের ইনিংসের সঙ্গে তৌহিদ হৃদয়ের ৪১ বলে ৬৬ রানের কল্যাণে শাইনপুকুর করে ৪ উইকেটে ১৯২ রান।
বড় লক্ষ্যে নেমে ১০৪ রানে ৬ উইকেট হারায় মোহামেডান। আলাউদ্দিন বাবুর সঙ্গে এরপর ইরফান শুক্কুরের ৪৭ রানের জুটি কিছু সময়ের জন্য প্রতিরোধ গড়েছিল। ২৯ রানে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন ইরফান, ছিল ৭ চার ও ১ ছয়। ৯ উইকেটে তারা থামে ১৭০ রানে।
শাইনপুকুরের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী শুভ, সুজন হাওলাদার ও হামিদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন শুভাগত।
টানা দুটি ম্যাচ জিতে ৪ পয়েন্টে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন শাইনপুকুর।