ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিন শেষ হলো অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের দাপটে। ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরুর পর ধসের মুখোমুখি হয়ে আবার উঠে দাঁড়ায় পাকিস্তান। কিন্তু শেষ বিকেলে মিচেল স্টার্কের আগুন ঝরা বোলিংয়ে গুটিয়ে যায় তারা ২৪০ রানে। তাদের অলআউটে শেষ হয় বৃহস্পতিবারের খেলা।
ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিতর্কিত আউট। এর আগে ৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শান মাসুদ (২৭) ও আজহার আলী (৩৯) ভালো শুরু এনে দেন। লাঞ্চের পরপর অজি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউডের পেসে ৭৮ রানে হারায় তারা ৪ উইকেট!
১০০ রান স্কোরবোর্ডে জমার আগে পঞ্চম ব্যাটসম্যানকে হারায় পাকিস্তান। দলীয় ৯৪ রানে ইফতিখার আহমেদের বিদায়ের পর আসাদ শফিক ও রিজওয়ানের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু চা বিরতির পর তৃতীয় ওভারে বিতর্কিত আউটে বিদায় নেন রিজওয়ান। কামিন্সের বলে পেছনে টিম পেইনের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। নো বল সন্দেহে থার্ড আম্পায়ারের কাছে রিপ্লের আবেদন করেন মাঠের আম্পায়ার। দেখা যায়, কামিন্সের পায়ের কোনও অংশই বোলিং লাইনের পেছনে নেই। নিশ্চিত নো বল হওয়া সত্ত্বেও আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ৩৭ রানে রিজওয়ানের এই আউট বিস্মিত করে ধারাভাষ্যকার থেকে শুরু করে ভক্তদের।
৪৯ রানের এই প্রতিরোধ ভাঙার পর অস্ট্রেলিয়াকে অস্বস্তিতে রাখে আসাদ ও ইয়াসির শাহের জুটি। সপ্তম উইকেটে তারা যোগ করেন ৮৪ রান। অনেকক্ষণ স্পিন দিয়েও তাদের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত স্টার্ক বল হাতে নিতেই ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। ১৩ রানে শেষ চার উইকেট হারায় সফরকারীরা। টানা দুই বলে ইয়াসির (২৬) ও শাহীন শাহ আফ্রিদিকে (০) ফেরান অজি পেসার। ক্রিজে নেমে তাকে ঠেকিয়ে হ্যাটট্রিক হতে দেননি নাসিম শাহ। অবশ্য স্টার্কের কাছেই উইকেট হারাতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বকনিষ্ঠ অভিষিক্ত হওয়া ১৬ বছরের এই খেলোয়াড়কে।
১৩৪ বলে ৭ চারে ইনিংস সেরা ৭৬ রানে কামিন্সের বলে বোল্ড হন আসাদ। এরপর নাসিমকে (৭) ফিরতি ক্যাচ ধরে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেন স্টার্ক।
৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার স্টার্ক। কামিন্স নেন ৩ উইকেট। দুটি পান হ্যাজেলউড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রথম দিন শেষে,
পাকিস্তান: প্রথম ইনিংস- ৮৬.২ ওভারে ২৪০/১০ (আসাদ ৭৬, আজহার ৩৯, রিজওয়ান ৩৭; স্টার্ক ৪/৫২, কামিন্স ৩/৬০)