ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয় দল দুই ভেন্যুতে নেমেছিল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে জিতেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মাশরাফি মুর্তজার নেতৃত্বে খেলা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ হেরেছে শেখ জামালের কাছে। একই ভেন্যুর চার নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
শেখ জামাল-লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরি (১২২) ও সাইফ হাসানের হাফসেঞ্চুরিতে (৭৮) নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাশরাফির নেতৃত্বে খেলা রূপগঞ্জ সানজামুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ৪৭.৩ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয়। ফলে শেখ জামাল ৪৯ রানের জয় পায়। রূপগঞ্জের নাঈম সর্বোচ্চ ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন সানজামুল।
প্রাইম ব্যাংক-রূপগঞ্জ টাইগার্স
বিকেএসপির চার মাঠে আগে ব্যাট করে এনামুল হক (১২৭) ও নাসির হোসেনের (১০৫*) সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রাইম ব্যাংক। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে হোঁচট খায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের স্পিনার রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণি জাদুতে ৪৪.২ ওভারে ২২৮ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ টাইগার্স। ফলে ৮৬ রানের বড় জয় পায় নাসির-এনামুলের প্রাইম ব্যাংক। সর্বোচ্চ ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন ভারতের বাবা অপরাজিথ। জাকির হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রানের ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের রাকিবুল ৪টি ও অলক কাপালি নেন ৩ উইকেট।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স-সিটি ক্লাব
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাজী অনিক আহমেদের বোলিং তোপে ৪৯.৫ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয় সিটি ক্লাব। সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন আশিক উল আলম। কাজী অনিক ৩০ রানে ৬ উইকেট নেন। জবাবে মেহেদী মারুফের ৯০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৬.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে ৬ উইকেটের জয় পায় গাজী গ্রুপ।