‘আজকাল ২৭০ রান যথেষ্ট নয়’- ম্যাচ শেষে বললেন মিচেল মার্শ। তখন তার মুখে বিজয়ের হাসি। অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট রান না করেও ইংল্যান্ডকে হারালো ৬৮ রানে! কারণ তার জানা ছিল, দ্রুত উইকেট নিতে পারলে জেতা কঠিন নয়। সেটাই করলো অজিরা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৬৫ রানে ইংল্যান্ডের পঞ্চম উইকেট তুলে নেয় তারা। তবে এই ধাক্কা সামলে নিয়ে দলকে উদ্ধার করতে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারির মতো ইংল্যান্ডের কেউ ছিলেন না।
ফিলিপ সল্ট, উইল জ্যাকস, হারি ব্রুককে ৪৬ রানের মধ্যে ফিরে যেতে দেখেও হাল ধরতে পারলেন না বেন ডাকেট। সপ্তম ওভারে তিনি ফিরে গেলেন টপ অর্ডারে সর্বোচ্চ ৩২ রান করে। মিডল অর্ডারে অভ্যস্ত লিয়াম লিভিংস্টোন সুবিধা করতে পারেননি, দশম ওভারে থামেন। অ্যারন হার্ডি ও মিচেল স্টার্ক দুটি করে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন।
জ্যাকব বেথেলকে নিয়ে জেমি স্মিথ অল্প কিছু সময়ের জন্য হাল ধরেছিলেন। ৫৫ রানের তাদের জুটি ভেঙে যায়। বেথেলকে ২৫ রানে থামান। জশ হ্যাজেলউডের বলে জেমি স্মিথ এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
শেষ দিকে ব্রাইডন কার্স ও আদিল রশিদ যথাক্রমে ২৬ ও ২৭ রান করে কেবল অস্ট্রেলিয়ার জয় বিলম্বিত করেছেন। অলি স্টোনকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে ইংল্যান্ডকে অলআউট করে এদিন অস্ট্রেলিয়ার সফল বোলার স্টার্ক। ৪০.২ ওভারে ২০২ রানে অলআউট ইংল্যান্ড।
এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন হার্ডি, হ্যাজেলউড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
লিডসে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়াও কিন্তু বিপদে পড়েছিল। তারা যে আড়াইশ পার করবে, সেটাই একসময় দুঃস্বপ্ন মনে হচ্ছিল। ২২১ রানে ৯ উইকেট হারায় সফরকারীরা। সেখান থেকে দলকে অপ্রত্যাশিত স্কোর এনে দেন অ্যালেক্স ক্যারি। হ্যাজেলউডকে নিয়ে শেষ উইকেটে ৪৯ রান যোগ করেন তিনি। ইংল্যান্ড দলে তার মতো কেউ দাঁড়িয়ে যেতে পারলে ভিন্ন গল্প তৈরি হতে পারতো।
৬৭ বলে ইনিংস সেরা ৭৪ রান করেন ক্যারি। তার আগে ৮৯ রানে তিন উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে স্বস্তি এনে দেন মার্শ। মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৫৯ বলে ৬০ রান করেন অজি অধিনায়ক।
তার আগে দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও ট্র্যাভিস হেড সমান ২৯ রান করেন।
দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা ইনিংস খেলে ও পরে দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্যারি।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এনিয়ে টানা ১৪ ওয়ানডে জিতলো তারা। এদিন শ্রীলঙ্কাকে (১৩) পেছনে ফেলেছে মার্শের দল। সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জয়ের শীর্ষ দুটি স্থানই অজিদের দখলে থাকলো। ২০০৩ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ২১ ওয়ানডে জিতেছিল তারা।
আগামী মঙ্গলবার দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।