স্কোর: আফগানিস্তান ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪/১০ (ফারুকী ০*, গজনফর ১, রশিদ ১৪, খারোটে ৪, গুলবাদিন ২৬, নবী ১৭, রহমত ৫২, আজমতউল্লাহ ০, হাসমতউল্লাহ ১৫, সেদিকুল্লাহ ৩৯, গুরবাজ ২)
বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৫২/৭ (জাকের ৩৭*, তাসকিন ২*, নাসুম ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৩, শান্ত ৭৬, হৃদয় ১১, মিরাজ ২২, সৌম্য ৩৫, তানজিদ ২২)
ফল: বাংলাদেশ ৬৮ রানে জয়ী।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের কাছে ৯২ রানে হেরেছিল তারা। দুই দিনের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেমে ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অধিনায়কের হাফ সেঞ্চুরির পর নাসুম আহমেদের স্পিনে সাফল্য পেলো বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে ১৮৪ রানে অলআউট করেছে তারা।
শারজায় আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করে। শান্ত ইনিংস সেরা ৭৬ রান করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জাকের আলীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত এই ব্যাটার ডেথ ওভারে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। তার ব্যাটে শেষ পাঁচ ওভারে ৫২ রান তোলে দল। জাকের ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে স্কোর আড়াইশ ছাড়ায়।
তবে সেদিকুল্লাহ আতাল ও রহমত শাহের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি বাংলাদেশের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল। ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন নাসুম। ভিসা জটিলতার কারণে আমিরাতে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় প্রথম ওয়ানডেতে ছিলেন না তিনি। এদিন প্রথম বলেই সেদিকুল্লাহকে থামান এই স্পিনার। দারুণ ব্রেকথ্রুর পর রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শহীদী বাধা হয়ে দাঁড়ান। এই জুটি ভেঙে দেন মোস্তাফিজ। তারপরই ভেঙে পড়ে আফগানদের ব্যাটিং লাইনআপ। নাসুম আরও দুটি উইকেট নিয়ে বল হাতে বড় ভূমিকা রাখেন। শেষটিসহ ৮.৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার তিনি। ম্যাচের গেম চেঞ্জারের খেতাবও পেয়েছেন নাসুম।
এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। মোস্তাফিজও পান সমানসংখ্যক উইকেট।
আগামী ১১ নভেম্বর সোমবার দুই দল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
জয় থেকে এক উইকেট দূরে বাংলাদেশ
মোস্তাফিজুর রহমান তার দ্বিতীয় শিকার বানালেন রশিদ খানকে। মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ নিলেন। তাতে বাংলাদেশ জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে। ১৮৪ রানে ৯ উইকেট পড়ছে আফগানিস্তানের। ১৬ বলে ১৪ রান করেন রশিদ।
শরিফুলের পর মিরাজের দ্বিতীয় আঘাতে ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ
১ রানের ব্যবধানে আফগানিস্তানের তিন উইকেট নিয়ে চাপ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গুলবাদিন নাইব একপ্রান্ত থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। অস্বস্তিতে পড়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে তার ৪১ বলে ৪৪ রানের জুটি ভেঙে দিলেন শরিফুল ইসলাম। ৩৭তম ওভারে প্রথম দুই বলে ছয় ও চার হজম করার পর চতুর্থ বলে গুলবাদিনকে ফিরিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন বাংলাদেশি পেসার। ২৫ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ২৬ রান করেন আফগান ব্যাটার। ১৬৩ রানে ছয় উইকেট পড়ে তাদের।
পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ আরেক সেট ব্যাটার মোহাম্মদ নবীকে ১৭ রানে বোল্ড করেন। বাংলাদেশি স্পিনার তার শেষ ওভারে আফগানিস্তানের অষ্টম উইকেট নেন। নানগেয়ালিয়া খারোটে স্টাম্পিং হন ৪ রান করে। ১৮১ রানে ৮ উইকেট নেই আফগানিস্তানের।
মোস্তাফিজ-নাসুমের আঘাতে এলোমেলো আফগানিস্তান
২৯তম ওভারে রহমত শাহের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ অস্বস্তিতে ছিল। মোস্তাফিজুর রহমান হাসমতমউল্লাহ শহীদীকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে নাসুম আহমেদ ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। একই ওভারে গুলবাদিন নাইবের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। পঞ্চম বলে তালগোল পাকিয়ে রান আউট হন সেট ব্যাটার রহমত। গুলবাদিন কাভারে বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন। ততক্ষণে রিশাদ হোসেন বল হাতে নেন, ভুল বুঝতে পেরে মাঝপথ থেকে ক্রিজে ফিরে আসেন তিনি। রহমতও তখন স্ট্রাইক প্রান্তে। কিপার জাকের বল হাতে নিয়ে ছুড়ে মারেন নাসুমের দিকে, ফাঁকায় বোলিং প্রান্তের স্টাম্প ভাঙেন তিনি। বিদায় নেন রহমত। ৫ চারে ৭৬ বলে ৫২ রান করেন তিনি। ২ উইকেটে ১১৮ রান করা আফগানিস্তান ১১৯ রানে হারালো ৫ উইকেট!
রহমতের হাফ সেঞ্চুরির পর মোস্তাফিজের শিকার আফগান অধিনায়ক
৭৪ বলে পাঁচ চারে রহমত শাহ ৩০তম হাফ সেঞ্চুরি করলেন। ২৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় বলে চার মেরে পঞ্চাশের ঘরে পা রাখেন আফগানিস্তান ব্যাটার। একই ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদী ১৭ রানে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ হন। ১১৮ রানে তিন উইকেট পড়লো আফগানিস্তানের।
মাঠের বাইরে শান্ত, তার জায়গায় জাকির হাসান
২৩তম ওভারে রহমত শাহের একটি শট ডাইভ দিয়ে থামাতে গিয়ে বাঁ ঊরুতে ব্যথা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারেই মাঠ ছাড়েন তিনি। তার জায়গায় আসেন জাকির হাসান। ২৭তম ওভারের চতুর্থ বলে হাসমতউল্লাহ শহীদীর একটি শট এই বদলি ফিল্ডারের একেবারে হাঁটুতে আঘাত করে। তিনিও তীব্র যন্ত্রণায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে অবশ্য দাঁড়িয়ে যান জাকির।
আফগানিস্তানের একশ
২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে রহমত শাহ দুটি রান নেন। তাতে আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে ১০০তম রান যোগ হয়। দলীয় রান তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে দুই উইকেট হারিয়েছে তারা।
প্রথম বলেই নাসুমের আঘাত
নাসুম আহমেদ ১৭তম ওভারে বল হাতে নিয়েই ভেঙে দিলেন ৫২ রানের জুটি। সেদিকুল্লাহ আতালকে থামালেন তিনি। ৭০ রানে আফগানিস্তান হারালো দ্বিতীয় উইকেট। রহমত শাহের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন সেদিকুল্লাহ। সুইপ করতে গিয়ে অনসাইডে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন তিনি। ৫১ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন সেদিকুল্লাহ।
পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান দিলো বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লেতে বেশ সতর্ক ব্যাটিং করলো আফগানিস্তান। ২৫৩ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৪০ রান করেছে তারা। একমাত্র উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারে তার শিকার হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
গুরবাজকে ফেরালেন তাসকিন
৩.৩ ওভারে আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙলো বাংলাদেশ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বেশ বাইরের বল মারতে গিয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৮ বলে ২ রান করেন তিনি। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারালো আফগানিস্তান।
শান্তর ফিফটি ও জাকেরের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ২৫২ রান
ওয়ানডেতে অভিষেকটা ভালোই রাঙালেন জাকের আলী। ৪৭তম ওভারে পরপর দুটি ছক্কা মারেন তিনি, প্রথমটি পড়ে ১০১ মিটার দূরে। ৪৯তম ওভারে আজমতউল্লাহর বলে হাসমতউল্লাহর হাত ফসকে ১৯ রানে জীবন পান জাকের। তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে ফিল্ডারের থ্রোয়ে হেলমেটে আঘাত পান এবং আম্পায়ারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বেশ কিছুক্ষণ তার প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ফিজিও সবুজ সংকেত দেন। ওই ওভারের শেষ বলে চার মেরে জানিয়ে দেন, তিনি ঠিক আছেন। শেষ বলে নিজের তৃতীয় ছক্কা মেরে দলীয় স্কোর আড়াইশ পার করেন। ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন জাকের।
এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো দুটি জুটিতে বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নেন। ডেথ ওভারে ৩২ রানে চার উইকটে পড়ার পর নাসুম আহমেদ ও জাকের ৪৬ রানের আগ্রাসী জুটি গড়েন। তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৫২ রান করেছে।
আগ্রাসী জুটি গড়ে নাসুমের বিদায়
৩২ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ চার উইকেট হারিয়ে আরেকটি ধসের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু অভিষিক্ত জাকের আলী ও নাসুম আহমেদ ৪১ বলে ৪৬ রানের আগ্রাসী জুটিতে স্বস্তি ফেরান।
৪৫তম ওভারে দারুণ এক ছক্কা মেরে গ্যালারি মাতান নাসুম। তারপর ৪৮তম ওভারে আরেকটি ছয় হাঁকান। মাঝে ছিল একটি চার। দ্বিতীয় ছয় মারার পরের বলে থামতে হয় তাকে। আল্লাহ গজনফরের বল তার ব্যাট মিস করে স্টাম্পে আঘাত করে। ২৪ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২৫ রান করেন নাসুম। দলীয় ২৩০ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের।
নাসুমের ব্যাটে বাংলাদেশের দুইশ
৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে নাসুম আহমেদ বিশাল এক ছক্কা মারলেন। উল্লাসে ফেটে পড়লো গ্যালারি। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়েই বাংলাদেশের স্কোর দুইশতে নেন তিনি।
৭৬ রানে আউট শান্ত, হতাশ করলেন মাহমুদউল্লাহ
৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নবীর ক্যাচ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৭৬ রান করেন তিনি। ১৮৩ রানে বাংলাদেশ হারালো পঞ্চম উইকেট। নানগেয়ালিয়া খারোটে একই ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ক্যাচ বানান। প্রথম ওয়ানডেতে ২ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটার এবার একটি রান বেশি করেছেন। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ৩২ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়েছে তারা।
১১ রানে আউট হৃদয়
৩৯তম ওভারের প্রথম বলে নানগেয়ালিয়া খারোটের বলে থামলেন তাওহীদ হৃদয়। ১৬ বলে ১ চারে ১১ রান করে সেদিকুল্লাহ আতালের ক্যাচ হন বাংলাদেশের ব্যাটার। ১৭৪ রানে চার উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
বোল্ড মিরাজ
ব্যাট ও পায়ের ফাঁক গলে উঁচু বল আঘাত করলো মেহেদী হাসান মিরাজের স্টাম্পে। ৩৩ বলে ২২ রান করে রশিদ খানের শিকার হলেন তিনি। নেই কোনও চার-ছক্কা। ৩৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ১৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ। শান্তর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮৩ বলে ৫৩ রানের।
শান্তর নবম হাফ সেঞ্চুরি, রিভিউ নিয়ে টিকে গেলেন
২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৫ বল খেলে নবম ফিফটির দেখা পেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে তিন রানের আক্ষেপে পুড়েছিলেন তিনি। এবার আর ব্যর্থ হননি। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গেও তার জুটি চল্লিশ ছাড়িয়েছে।
৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে আল্লাহ গজনফর শান্তর বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নেন অধিনায়ক, উইকেট মিসিং হওয়ায় টিকে যান। তখন তার রান ছিল ৫৫।
সৌম্যকে হারানোর পর বাংলাদেশের একশ
৯৩ বলে ৭১ রানের জুটি ভেঙে গেলো। সৌম্য সরকার এলবিডব্লিউ হলেন রশিদ খানের বলে। ১৯তম ওভারের এক বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি। তারপর মেহেদী হাসান মিরাজ এসে প্রথম বলে সিঙ্গেল নিলে বাংলাদেশের স্কোর একশ ছোঁয়। ৪৯ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ৩৫ রান করেন সৌম্য। দলীয় ৯৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
আফগানিস্তানের ব্যর্থ রিভিউ
১১.৩ ওভারে আজমতউল্লাহর ওভারে শান্তর বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেছিল আফগানিস্তান। পরে রিভিউ নেয় তারা। কিন্তু সেখানে মেলেনি সাফল্য। বল ব্যাটেই লাগেনি। তাতে নষ্ট হয়েছে আফগানিস্তানের প্রথম রিভিউ।
শান্ত-সৌম্যর ব্যাটে পঞ্চাশ ছাড়ালো বাংলাদেশ
২৮ রানে ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেট পড়লেও শান্ত-সৌম্যর ব্যাটে দারুণ ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। শুরুতে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকা সৌম্য ধীরে সুস্থে হাত খুলেছেন। শান্তও নামার পর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাট করছেন। তাতে ৯ ওভারেই পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে দলের স্কোর। দশ ওভারে শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫৯।
আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট তানজিদ
দেখে শুনে শুরুর পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে হাত খুলতে শুরু করেছিলেন ওপেনার তানজিদ তামিম। ফারুকির তৃতীয় ওভারেই মারেন দুটি চার। প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক অফস্পিনার গজনফর অপরপ্রান্তে বোলিং করছিলেন। তার চতুর্থ ওভারে ছয় মেরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বার্তা দিতে থাকেন তামিম। যদিও দ্বিতীয় বলে উইকেট বিলিয়ে আসেন একই রকম শট খেলতে গিয়ে। মেরে খেলতে গেলে ক্যাচ উঠে যায় মিড অনে। তাতে মোহাম্মদ নবীর হাতে ২২ রানে ফিরেছেন তামিম। তাতে চার ছিল ৩টি। ছক্কা একটি। অপরপ্রান্তে সৌম্য সরকার ছিলেন ভীষণ সতর্ক।
টস জিতেছে বাংলাদেশ, জাকের আলীর অভিষেক
আট মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাজে শুরু করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে। সিরিজ বাঁচাতে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে সিরিজে প্রথমবারের মতো টস জিতেছে লাল-সবুজ দল। শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শুরুতে সহায়তা পাবেন দেখে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত। আশা করছেন, পরের ইনিংসে বোলাররা কাঙ্ক্ষিত সুইং পাবেন। অপর দিকে আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহীদী বলেছেন, বাংলাদেশকে ২৪০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চান তারা।
একাদশে কারা
একাদশে প্রত্যাশিত পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফিরেছেন বামহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। নাসুম সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে।
চোটের কারণে মুশফিকুর রহিম না থাকায় জাকের আলীর অভিষেক হচ্ছে এই ম্যাচ দিয়ে। কিপিংয়ের দায়িত্বও সামলাবেন তিনি। আফগান দল অবশ্য অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক) মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদী (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, এএম গজনফর, নানগেয়ালিয়া খারোটে, ফজল হক ফারুকি।