গোড়ালির পুরানো ইনজুরিতে ভুগছেন তাসকিন আহমেদ। এই কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে এই পেসার। তাসকিন তার অ্যাকিলিস টেন্ডন সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শ নিতে লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। ইংল্যান্ডে এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিসিবির সিনিয়র ফিজিশিয়ান ডা. দেবাশীষ চৌধুরী। দেশে ফিরে তাসকিনের অবস্থার সবশেষ জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক। পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করে জুনের মধ্যে তাসকিনের মাঠে ফেরার জোর সম্ভাবনা দেখছেন দেবাশীষ।
তাসকিনের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করেন ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর জেমস ক্যাল্ডার। পা ও গোড়ালির চিকিৎসার জন্য প্রখ্যাত একজন অর্থোপেডিক সার্জন তিনি। তাকে দেখানোর পর তাসিকেনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে অস্ত্রোপচার ছাড়াই ডানহাতি এই পেসারের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হবে। ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ সার্জন এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন বলে বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে। এরই মধ্যে তাসকিসেনর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। যা জাতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করা হবে।
এ ব্যাপারে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, তাসকিনের জন্য এই মুহূর্তে রক্ষণাত্মক এবং অস্ত্রোপচারবিহীন চিকিৎসা পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর। তার পুনর্বাসন কর্মসূচিটি ধাপে ধাপে নেওয়া হবে। যা ফিটনেস ফিরে পাওয়া এবং টেন্ডনের সমস্যাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে সাজানো হয়েছে। আমরা আশা করি তাসকিনকে দ্রুতই ফিরে পাওয়া যাবে।’
বিসিবির চিকিৎসক আরও জানান, পুনর্বাসন কার্যক্রম সফলভাবে শুরু হলে জুনের শুরুতেই তাসকিনকে পাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ইনজুরির কারণে একের পর এক সিরিজ মিস করছেন তাসকিন। আরব আমিরাত ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নেই তিনি। আগামী জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই হয়তো ফিরবেন ২২ গজে!
প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ফেরার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের জার্সিত তিনটি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের এই তারকা পেসার। রূপগঞ্জ ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। আর ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। তবে এরপর থেকেই মাঠের বাইরে আছেন তিনি।