এবার টেস্ট ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিলেন রোহিত শর্মা। ভারতের এই ওপেনার ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দেন।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন রোহিত। এবার আরও একটি ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
আইপিএলের মাঝপথে অবসরের ব্যাপারে ইনস্টাগ্রামে রোহিত লিখেছেন, ‘সকলকে জানাতে চাই যে, আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সাদা পোশাকে দেশের হয়ে খেলা আমার কাছে ছিল গর্বের। এত বছর ধরে এত ভালবাসা ও সমর্থনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ। এক দিনের ফরম্যাটে ভারতের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবো।’
আইপিএলের পরেই ইংল্যান্ডে যাবে ভারত। পাঁচ টেস্টের সিরিজ় দিয়ে আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু করবে তারা। নতুন চক্রে আর থাকছেন না রোহিত। গুঞ্জন উঠেছিল ইংল্যান্ড সিরিজ়ের আগে তাকে টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সেই জল্পনার মধ্যেই সাদা পোশাক একবারে তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ইংল্যান্ড সফরে নতুন অধিনায়কের দৌড়ে জসপ্রীত বুমরা, রিশাভ পান্ত ও শুবমান গিল রয়েছেন।
রঙিন জার্সিতে রোহিতের পারফরম্যান্স আর টেস্টে বেশ তফাত রয়েছে। লম্বা সময় টেস্টে নিয়মিত সুযোগ পেতেন না তিনি। পরে ওপেনার হিসাবে খেলানো শুরু হয় তাকে। ভারতের হয়ে ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন রোহিত।
টেস্টে রোহিত করেছেন ৪৩০১ রান। ব্যাটিং গড় ৪০.৫৭। টেস্টে ১২টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি ফিফটি। সর্বোচ্চ রান ২১২।
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছরের হোম সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়ায় বিব্রতকর সফরে বাজে পারফরম্যান্সের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোহিত। দলের মতো তার ফর্মও ছিল তলানিতে। এই তিন সিরিজে আট ম্যাচ খেলে কেবল একবার পঞ্চাশ পার করেন তিনি, গড় ছিল ১০.৯৩। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট জিতলেও নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয় রোহিতের নেতৃত্বাধীন ভারত। তারপর বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ায় তারা হারে ৩-১ ব্যবধানে।
অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম টেস্টে ছিলেন না রোহিত। সন্তান জন্মের কারণে দেশে ছিলেন তিনি। পরে সিডনিতে শেষ টেস্টে সরে দাঁড়ান। হতাশ কণ্ঠে বলেন, অবসরের ভাবনা এখন নেই, তবে রানখরায় ভোগার কারণে খেলেননি।
ওই দুই টেস্টে নেতৃত্ব দেন সহঅধিনায়ক জসপ্রীত বুমরা। শেষ টেস্টে তার একাদশের বাইরে থাকার পর থেকে গুঞ্জন ওঠে, আর টেস্টে দেখা যাবে না তাকে। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, শুধু একটি টেস্টের জন্য বাইরে আছেন তিনি। খেলা চালিয়ে যাওয়ার আভাস দেন। তবে বাস্তব বলছে ভিন্ন কথা। লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যবনিকা টেনে দিলেন তিনি।