ইমার্জিং নারী ওয়ানডে সিরিজে আবারও ব্যাটারদের ব্যর্থতা। তাতে মাত্র ১৫১ রান করলো বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ছোট পুঁজির পরও তীব্র লড়াই করে দেখালো তারা। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে গিয়ে ২ উইকেটে হার মেনেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে তিন ম্যাচের সিরিজ আগেই হেরে বসলো বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৪৯ ওভারে অলআউট হয়। মাত্র ৫ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। তারপর অধিনায়ক শারমীন সুলতানা ও রাবাইয়া হায়দরারের ২৯ রানের জুটি সাময়িকভাবে ধসে বিরতি টানে। এরপর ফের ১১ রানের মধ্যে তিন উইকেটের পতন।
৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শারমীন ও ফারজানা ইয়াসমিনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায়। ৮১ রানের জুটি গড়েন তারা। শারমীন ১০১ বলে ৬ চার ৫৯ রানে থামেন।
ফারজানার ৪৪ রানের সৌজন্যে দেড়শ ছোঁয় বাংলাদেশ। ২ রানের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এলিজ-মারি মার্ক্স ৭ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ডেলমি টাকারও সমান সংখ্যক উইকেট নেন ২২ রান দিয়ে। দুটি পান কোমোতসো রাপু।
লক্ষ্যে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ রানে ২ ওপেনারকে হারায়। তারপর পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বিরাট ধাক্কা খায় তারা। স্বর্ণা আক্তার ফেরান ফায়ে টুনিক্লিফকে (২২)।
৪৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপদে ফেলে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৯৭ রানে তারা ৭ উইকেট হারায়। এই ধসের মাঝে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন গান্ধি জাফতা।
তবে এলিজ-মারি দারুণ প্রতিরোধ গড়ে দলকে লাইনচ্যুত হতে দেননি। লিয়া জোন্স তার সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান। শেষ ওভারে প্রোটিয়াদের ৭ রান প্রয়োজন ছিল, বাংলাদেশের লাগতো ২ উইকেট। এলিজ-মারি দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেতান। বাংলাদেশও সিরিজ হারলো এক ম্যাচ আগেই।