প্রায় সাত মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রবিবার পেশাওয়ার জালমির বিপক্ষে পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সের একাদশেও ঠাঁই হলো। বৃষ্টির কারণে কমে যাওয়া ১৩ ওভারের ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশি তারকা। বল হাতেও সুবিধা করতে পারেননি এই স্পিনার। তবে তার ব্যাটে-বলে ব্যর্থতার দিনে লাহোর ঠিকই প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ২৬ রানের হারে প্রথমবার প্লে অফ না খেলেই পিএসএল থেকে ছিটকে গেলো পেশাওয়ার।
১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে থেকে পরের পর্বে লাহোর।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ নাঈম ও ফখর জামানের ব্যাটে দারুণ শুরু করে লাহোর। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান তোলে তারা।
এরপর ফখর একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের গতি বাড়ালেও অন্য প্রান্ত থেকে সহযোগিতা পাননি। সাকিবও পারেননি কোনও অবদান রাখতে। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে আসিফ আলী আউট হওয়ার পর ব্যাট হাতে নামেন বাঁহাতি ব্যাটার। আহমেদ দানিয়েলের প্রথম ডেলিভারিতে আগেভাগে স্কুপ করতে গিয়ে কোনও রকমে বোল্ড হওয়া থেকে বেঁচে যান তিনি। আম্পায়ার ওয়াইড কল করেন। তবে বৈধ ডেলিভারিতে টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিডল স্টাম্প হারান সাকিব। প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গোল্ডেন ডাক মারেন বাংলাদেশি ব্যাটার।
শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে লাহোর। ফখরের ৩৬ বলে ৬০ রানের সৌজন্যে তারা ৮ উইকেটে ১৪৯ রান করে।
পেশাওয়ারের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ড্যানিয়েল স্যামস, দানিয়েল ও আলি রাজা।
লাহোরের বোলিং তোপে পড়ে শুরুতে ধাক্কা খায় পেশাওয়ার। সালমান মির্জা তার প্রথম দুই ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন। আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি পেশাওয়ার। শেষ দিকে দানিয়েল ও ড্যানিয়েলের ২৪ ও ২৬ রানের সৌজন্যে কিছুটা লড়াই করে তারা। তবে থামতে হয়েছে ৮ উইকেটে ১২৩ রানে।
সালমান ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। সাকিব ২ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। লাহোর অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি পান দুটি উইকেট।
পেশাওয়ার জালমি (একাদশ): মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, বাবর আজম (অধিনায়ক), ম্যাক্স ব্রায়ান্ট, মাজ সাদাকাত, আব্দুল সামাদ, ড্যানিয়েল সামস, লুক উড, মোহাম্মদ আলী, আহমেদ দানিয়াল, আলী রাজা।
লাহোর কালান্দার্স (একাদশ): ফখর জামান, মোহাম্মদ নাঈম, আবদুল্লাহ শফিক, কুসল পেরেরা (উইকেটরক্ষক), সিকান্দার রাজা, সাকিব আল হাসান, আসিফ আলী, শাহীন আফ্রিদি (ক্যাপ), সালমান মির্জা, জামান খান, হারিস রউফ।