আইপিএলে টিকে থাকার লড়াইয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ১৮০ রানে আটকে দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু লক্ষ্যে নেমে কোনও লড়াই করতে পারেনি তারা। ১৮.২ ওভারে ১২১ রানে দিল্লি অলআউট। ৫৯ রানে জিতে প্লে অফের বাকি থাকা একমাত্র জায়গা নিশ্চিত করলো মুম্বাই। বিদায় নিলো দিল্লি।
১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে থাকা নিশ্চিত করেছে মুম্বাই। সমান খেলে ১৩ পয়েন্ট পেয়ে পাঁচে দিল্লি। লিগে নিজেদের বাকি থাকা একমাত্র ম্যাচ জিতলেও মুম্বাইকে ছুঁতে পারবে না তারা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারে ২৩ রানে মুম্বাইয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙে। মোস্তাফিজুর রহমান বল হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ডেলিভারিতে রোহিত শর্মাকে (৫) অভিষেক পোড়েলকে ফেরান। আর কোনও উইকেট পাননি তিনি। আরও তিন ওভার বল করেছেন। ৪ ওভারে ৩০ রান দেন বাংলাদেশি পেসার।
ভিপ্রাজ নিগম ও কুলদীপ যাদবের মিতব্যয়ী বোলিংয়ে মুম্বাই চাপে পড়েছিল। ব্যাটাররা খোলস থেকে বের হতে পারছিল না। ১৮ ওভারে তাদের স্কোরবোর্ডে ছিল ১৩২ রান। কিন্তু সূর্যকুমার যাদব ও নমন ধীর ঝলক দেখান।
শেষ দুই ওভারে মুকেশ কুমার ও দুষ্মন্ত চামিরা ২৭ ও ২১ রান দেন। তাদের ওপর দাপট দেখান সূর্যকুমার ও নমন।তাদের জুটি ছিল ২১ বলে ৫৭ রানের।
৪৩ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সূর্যকুমার। শেষ দিকে ৮ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন নমন।
এছাড়া তিলক ভার্মা ২৭, উইল জ্যাকস ২১ ও রায়ান রিকেলটন ২৫ রান করেন।
কুলদীপ ও ভিপ্রাজ চার ওভারে যথাক্রমে ২২ ও ২৫ রান দেন। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মুকেশ কুমার।
লক্ষ্যে নেমে জসপ্রীত বুমরা ও মিচেল স্যান্টনারের বোলিংয়ে হাপিত্যেশ করে দিল্লি। কেবল সামির রিজভি ৩৯ ও ভিপ্রাজ নিগম ২০ রান করে বলার মতো অবদান রাখেন। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন আশুতোষ শর্মা (১৮) ও লোকেশ রাহুল (১১)।
মুম্বাইয়ের পক্ষে স্যান্টনার ও বুমরা তিনটি করে উইকেট নেন। চার ওভারে মাত্র ১১ রান দেন স্যান্টনার।