যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পদত্যাগ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। শুরুতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সাবেক অধিনায়কের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেন। এই প্রেক্ষিতে ফারুক জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
এই ঘটনার পরপর বিসিবির ৮ পরিচালক বর্তমান সভাপতির ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেন। কেবল আকরাম খান সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে।
ফারুক ছাড়া বিসিবির বাকি ৯ পরিচালক হচ্ছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম, মো. সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, মাহবুব আনাম, মঞ্জুরুল আলম, ফাহিম সিনহা, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ, সালাউদ্দিন চৌধুরী ও আকরাম। এদের মধ্যে কেবল আকরাম জাতীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দেওয়া অনাস্থা চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি।
এর আগে গতকাল রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফারুক। তারপর থেকেই বিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তনের জোর গুঞ্জন চলছে। এনিয়ে দিনভর নাটক চলেছে।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ফারুক নিজের অবস্থান নিয়ে বলেছেন, ‘আমি তো আর যেচে চেয়ারে বসিনি, আপনাদের অনুরোধেই এসেছি। বিনা কারণে পদত্যাগ করাটা নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করার মতো। ফলে আমি পদত্যাগ করছি না।’
একটি জাতীয় দৈনিককে ফারুক বলেছেন- তিনি মূলত তার সকর্মীদের দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। তার কথা, ‘বিসিবিতে দুদক ঢোকার পর থেকেই ষড়যন্ত্র চলছে। তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটের কেলেঙ্কারিতে এই বোর্ডেরই পরিচালকদের একাংশের জড়িত থাকার ব্যাপারটি দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিপিএলে টিকিট বিক্রির রেকর্ড হলো। অথচ এই বোর্ডেরই একজন পরিচালক আগের সিস্টেমে টিকিট বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। সেভাবে করলে আগের মতোই কাড়ি কাড়ি টাকা বিসিবির বেহাত হয়ে যেতো। আমি সেটি হতে দেইনি। এরাই এখন ষড়যন্ত্র করছে।’
ফারুককে সরিয়ে দিয়ে বিসিবি সভাপতি হিসেবে আলোচনায় আছে সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম। তিনি নিজেও বোর্ড সভাপতি হতে প্রস্তুত আছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটায় ফারুক পদত্যাগ করলে তার স্থলাষিভিক্ত হবেন বুলবুল। যদিও মাঠের বাইরের এই ‘খেলা’ কবে কোথায় শেষ হবে, সেটি নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে!