গুঞ্জনই সত্যি হলো। লিভারপুল ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিলেন সাদিও মানে। অ্যানফিল্ডে দুর্দান্ত সময় কাটিয়ে তিন বছরের চুক্তিতে জার্মান ক্লাবটিতে পাড়ি জমালেন সেনেগালের এই স্ট্রাইকার। ২০২৫ সাল পর্যন্ত তার চুক্তি। আজ (বুধবার) বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে খবরটি।
লিভারপুরের কিংবদন্তি হয়ে অ্যানফিল্ড ছাড়লেন মানে। ২০১৬ সালে সাউদাম্পটন থেকে অলরেডস শিবিরে যোগ দিয়ে সাফল্যের ভেলায় ভেসেছেন। একই সঙ্গে আছে ফাইনাল হারের কষ্টও। তবে ইয়ুর্গেন ক্লপ আসার পর বদলে যাওয়া লিভারপুলের অন্যতম সৈনিক ছিলেন এই মানে। ইংলিশ ফুটবলে নিজের ছাপ ফেলে এবার নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে জার্মানিতে পাড়ি দিলেন ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
৪১ মিলিয়ন ইউরোতে বায়ার্নের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছেন মানে। অর্থাৎ, সাউদাম্পটন থেকে ৩৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে (৩৯ মিলিয়ন ইউরো) দলে ভেড়ানো এই ফরোয়ার্ডকে বেশি দামে বিক্রি করলো লিভারপুল। যদিও ৪১ মিলিয়ন ইউরোর পুরোটা একবারে পাবে না ইংলিশ ক্লাবটি। ট্রান্সফার ফি’র নির্ধারিত ৩২ মিলিয়ন ইউরোর পুরোটা একসঙ্গে পাবে, এর সঙ্গে ৬ মিলিয়ন ইউরো আসবে বায়ার্নে মানের ম্যাচ খেলার ওপর। আর বাকি ৩ মিলিয়ন ইউরো নির্ভর করবে এই খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ও বায়ার্নের সাফল্যের ওপর।
তবে পারফরম্যান্স ও দক্ষতা হিসাবে নিলে কম দামেই মানেকে পেয়েছে বায়ার্ন। এই ফরোয়ার্ড লিভারপুলের জার্সিতে ২৬৯ ম্যাচে করেছে ১২০ গোল। আছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে ওঠার অনেক উদাহরণ। তবে মানে যেহেতু নিজে থেকে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছেন, তাই দেরি করেনি লিভারপুল। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পর তিনি ক্লাবকে জানিয়ে দেন, অ্যানফিল্ড ছাড়তে চান। চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর থাকলেও লিভারপুল কর্তৃপক্ষ তার অনুরোধ রেখেছে। তাছাড়া ২০২৩ সালের মধ্যে চুক্তি নবায়ন না করলে ফ্রি’তে ছেড়ে দিতে হবে- সেটি আমলে নিয়ে এবারের দলবদলেই তাকে বিক্রি করে দিয়েছে অলরেডস।
বায়ার্নে নাম লিখিয়ে খুশি এই তারকা, ‘শেষ পর্যন্ত বায়ার্নে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। শুরু থেকে আমার কোনও সন্দেহ ছিল না (বায়ার্নে আসা নিয়ে)। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। এই ক্লাবের হয়ে আমি অনেক কিছু জিততে চাই, একই সঙ্গে জাতীয় দলের হয়েও।’