২০২৬ বিশ্বকাপে বেড়ে যাচ্ছে দল সংখ্যা। এই প্রথম ফুটবল মহাযজ্ঞে ৪৮টি দল অংশ নেবে। আয়োজক দেশসহ ফিফা চ্যালেঞ্জিং এই টুর্নামেন্ট সামাল দিতে এবার ভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আয়োজনে থাকছে তিনটি দেশ- কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। যারা আয়তনে মোটেও ছোট নয়। ফলে উচ্চতার তারতম্যের পাশাপাশি টাইম জোন, আবহাওয়ার পার্থক্যসহ অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর কাছে অনেক কিছু ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। তাতে লজিস্টিক ব্যবস্থাও চ্যালেঞ্জিং হবে। এসব কথা মাথায় রেখে দলগুলোকে অঞ্চলভেদে গুচ্ছভাবে মাঠের কাছাকাছি রাখার পরিকল্পনা ফিফার। যাতে যাতায়াত খুব সহজ হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেস বিশ্বকাপের অফিসিয়াল লোগো ও ব্র্যান্ডিংয়ের উন্মোচন করতে গিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি বলেছেন, ‘এ ক্ষেত্রে লজিস্টিক ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, এটা মহাদেশীয় অঞ্চল- তাতে তিনটি দেশ। কোনোটিই ছোট নয়। দূরত্ব, টাইম জোন ও আবহাওয়াও ভিন্ন। তাছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মেক্সিকোর উচ্চতা; অন্যান্য অঞ্চলেও এর তারতম্যের বিষয় আছে।’
তারপরই গুচ্ছভাবে দলগুলোকে রাখার কথা বলেছেন তিনি, ‘ফলে এসব বিষয় মাথায় রেখে দল ও ভক্তদের কথা মাথায় রেখে সম্ভাব্য সেরা আবহ তৈরি করা জরুরি। যাতে খুব বেশি যাতায়াত করা না লাগে। বিশেষ করে প্রথম দিকে। এসব কথা মাথায় রেখে আমরা অঞ্চলভেদে গুচ্ছভাবে দলগুলোকে রাখার চেষ্টা করবো। যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের ড্র অনুযায়ী খেলাটা সহজ হয়ে যায়।’
বিশ্বকাপে মাঠের কাছাকাছি দলগুলোকে রাখতে পারার সুবিধা কাতার বিশ্বকাপেও ছিল। সেই অভিজ্ঞতার কথাও শুনিয়েছেন ইনফান্তিনো, ‘কাতার বিশ্বকাপে এটা একটা অন্যতম সুবিধা ছিল। তাদের এমনভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যেখানে খেলোয়াড়রা খেলার একঘণ্টার মধ্যেই বিছানায় যেতে পারতো।’
তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘২০২৬ বিশ্বকাপেও যাতায়াতের বিষয়টি থাকবে। কিন্তু বিষয়টা আমরা এমনভাবে ব্যবস্থা করবো, যাতে দলগুলোর জন্য সম্ভাব্য সেরাটা বের হয়ে আসে।’
এদিকে, বিশ্বকাপের অফিসিয়াল লোগোতে দেখা গেছে সাদা রঙে ২৬ লেখা। তার ওপর বসানো হয়েছে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি। যার স্লোগান রাখা হয়েছে ‘উই আর ২৬’। এবারই প্রথম অফিসিয়াল লোগোতে বিশ্বকাপ ট্রফি ব্যবহৃত হয়েছে।