এএফসি কাপে আগের ম্যাচগুলোতে মালদ্বীপের ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের শতভাগ রেকর্ড ছিল বসুন্ধরা কিংসের। এবার আর সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ন থাকেনি। ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে মাঝিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব ৩-১ গোলে বসুন্ধরা কিংসকে উড়িয়ে দিয়েছে।
মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে বল দখল কিংবা আক্রমণে এগিয়ে ছিল বসুন্ধরা। কিন্তু দোরিয়েল্তনসহ অন্যরা একের পর এক মিস করে দলের হতাশা বাড়িয়েছেন। বিপরীতে সুযোগ পেয়ে গোল আদায় করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
ম্যাচ ঘড়ির ১৪ মিনিটে দোরিয়েল্তন গোমেজ বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নিলেও তা পোস্টের বাইরে দিয়ে গেছে। অথচ পাশে ফাঁকায় ছিলেন শেখ মোরসালিন।
পরের মিনিটে বসুন্ধরা পিছিয়ে পড়ে। মাঝিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব এগিয়ে যায়। বজিলাভ বালবানোভিচে ডি বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে জাল কাঁপান। গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বলের লাইনে ঝাঁপালেও গতির কাছে হার মানেন।
গোল শোধে কিংস কম চেষ্টা করেনি। ৩৮ মিনিটে রাকিবের ক্রসে বিশ্বনাথ ঘোষের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি।
৫৬ মিনিটে রাকিব-সাদ উদ্দিনের হেড গোলকিপার গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়ে বসন্ধুরাকে আবারও রুখে দিয়েছেন।
৬৮ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে মাঝিয়া আবারও এগিয়ে গেছে। ফ্রি-কিক থেকে বল ঘুরে আসে বদলি হাসান নাজিমের পায়ে। বক্সের একটু বাইরে থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেছেন নাজিম।
যোগ করা সময়ে আলি ফাসির বক্সে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন। শেষ মিনিটে কিংস কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। দোরিয়েল্তনের অ্যাসিস্টে মোহাম্মদ ইব্রাহিম হেড থেকে একটি গোল শোধ দিয়েছেন। তাতে লাভ হয়নি যদিও। অস্কার ব্রুজনের দলের এএফসি কাপ শুরু হয়েছে হার দিয়ে। ২ অক্টোবর ওডিশা এফসির বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ লিগ চ্যাম্পিয়নরা।