X
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

২০০৩ এর সাফের পুনরাবৃত্তি এবার হবে কি?

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩৫আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩৫

ঢাকার মাঠে ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই একবারই। এরপর আর ট্রফি ছোঁয়া হয়নি লাল-সবুজ দলের। ২০ বছর আগে সাফের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল মালদ্বীপ। তাদেরকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উৎসব করেছিল জয়-আরমান-কাঞ্চনরা। এবার ঢাকার মাঠে আবারও মালদ্বীপের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সাফ নয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে অফ পর্বের ম্যাচে। 

এবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ না হলেও ডু অর ডাই ম্যাচ জিততেই হবে, তা নির্ধারিত সময় কিংবা টাইব্রেকারে হলেও। ড্র করলে হবে না। তাই ঘুরে ফিরে ২০০৩ সালের স্মৃতি ফিরে আসছে! বাংলাদেশ কি পারবে ২০ বছর আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি করতে?

২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছিল। আরিফ খান জয় ৯০ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন। সেই মালদ্বীপের বিপক্ষেই ফাইনাল খেলতে হয়েছে।

ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটে রোকনুজ্জামান কাঞ্চনের গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ৫৭ মিনিটে আলী উমরের গোলে মালদ্বীপ সমতায় ফেরে। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৩ গোলে বাংলাদেশ জেতে। স্বাগতিকের সবাই গোল করতে পারলেও মালদ্বীপ পারেনি।

৪৬ হাজার দর্শকের সামনে কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে ম্যাচ জিতে উৎসব করেছিল বাংলাদেশ। এরপর শুধুই হাহাকার। তবে এবারের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ডু অর ডাই ম্যাচ। মালদ্বীপের বিপক্ষে জিততে পারলেই পরের এক বছরের জন্য ফিলিস্তিন,লেবানন ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। অন্যথায় এক বছরের জন্য ‘নির্বাসনে’!

তাই ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে যে করেই হোক হারাতে হবে। ১৭ অক্টোবরের ম্যাচটিতে ড্র করলে চলবে না। জিততে হবে। এখানে অ্যাওয়ে ম্যাচের সুবিধাটুক থাকছে না। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল নিষ্পত্তি না হলে অতিরিক্ত সময় ও টাইব্রেকারের আশ্রয় নিতে হবে। তাই ২০০৩ এর ম্যাচ থেকে কিছুটা হলে অনুপ্রেরণা নিতে পারে স্বাগতিকরা। 

তবে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আগেই বলেছেন, যে করেই হোক ম্যাচ জিততে চান, ‘ফিরতি লেগে আমরা জয় ছাড়া কিছুই ভাবছি না। আমরা যদি মালদ্বীপের সঙ্গে হারতাম, দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের জিততেই হতো। ড্র করলেও জিততে হতো। এমনকি জিতলেও ঘরের মাঠে জয় ছাড়া কিছু চিন্তাও করতাম না।’

অন্য দিকে ২০০৩ এর সাফ জয়ী অন্যতম কুশলী মিডফিল্ডার আরমান মিয়া আশাবাদী কণ্ঠে বলেছেন, ‘মালদ্বীপের বিপক্ষে আমাদের মাঠে দলের জেতা উচিত। ওদের শক্তি মনে হচ্ছে আগের থেকে কিছুটা কমেছে। আর আমাদের দল আগের চেয়ে কিছুটা গোছালো খেলছে। আমার মনে হয় শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ে যেতে পারলে জয় আসবেই।’

এরপরই ২০ বছর আগে ফিরে যান আরমান, ‘আমরা ২০০৩ সালে ফাইনালে  জিতেছিলাম। আমরা শুরুতে গোল দেই। এরপর ওরা সমতা ফেরায়। টাইব্রেকারে জিতে যাই। কোচ জর্জ কোটান আমাদের দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি ছিলেন আমাদের বাবার মতো। এবার কাবরেরার অধীনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ভালো করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’

/টিএ/এফএইচএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আওয়ামী লীগ সমর্থন করা গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বিএনপির সদস্য হতে পারবেন: আমির খসরু
আওয়ামী লীগ সমর্থন করা গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বিএনপির সদস্য হতে পারবেন: আমির খসরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা গ্রেফতার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা গ্রেফতার
‘যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেন না, তারাই বিরোধিতা করছেন’
‘যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেন না, তারাই বিরোধিতা করছেন’
বাংলাদেশকে এড়িয়ে সমুদ্রপথে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
বাংলাদেশকে এড়িয়ে সমুদ্রপথে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
সর্বাধিক পঠিত
চার দশক পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ
চার দশক পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে হচ্ছে একাধিক হাসপাতাল, পাল্টে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র
চট্টগ্রামে হচ্ছে একাধিক হাসপাতাল, পাল্টে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন স্থগিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন স্থগিত
চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাশাসকের বৈঠক কী বার্তা দিচ্ছে?
চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাশাসকের বৈঠক কী বার্তা দিচ্ছে?