ভুটানের বিপক্ষে ৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেজন্য রবিবার প্রথম টার্ফে অনুশীলন করেছেন মিরাজুল-মিতুল-জামালরা। আগের দিন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পাহাড়ে হাইকিং করেছেন।
ভুটানের বিপক্ষে গত চার ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। সবশেষ বেঙ্গালুরুতে হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তাদেরকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল জামাল-তপুরা। সাফল্যের এই ধারা চলমান থাকবে, আশা ডিফেন্ডার সাদউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জিততে হবে, এটাই লক্ষ্য। ভুটান ভালো দল, আগের চেয়ে উন্নতি করেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য একটা, জিততে হবে এবং সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামবো। আবহাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। বাংলাদেশে এখন খুব গরম, এখানে ঠাণ্ডা পড়ছে। তবে আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নিয়ে মাঠে ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করবো।’
নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ও করতে চাইছেন সাদ, ‘গতকাল পাহাড়ে ট্রেনিং করেছি, আজ মাঠে (টার্ফে) প্রস্তুতি, সবাই সুস্থ আছে, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া নিয়ে কাজ করবো। গত দুই মাস আমরা ফুটবলের বাইরে ছিলাম, এ মুহূর্তে তাই নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া অনেক প্রয়োজন, এটার জন্য আজ অনুশীলন করবো।'
অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মনের মনে উঁকি দিচ্ছে ২০১৬ সালের হতাশার স্মৃতি। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভুটানের মাঠে সেবার ৩-১ গোলে হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে দূরে সরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রায় দুই বছর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার বাইরে থাকতে হয়েছিল।
তপু তাই বলেছেন, ‘ভুটানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ আমরা খেলেছি সাফে, বেঙ্গালুরুতে ওদেরকে তখন আমরা ৩-১ গোলে হারিয়েছিলাম। কিন্তু আমার একটা ঘটনা মনে আছে, ওদের মাঠে শেষ ২০১৬ সালে একটা ম্যাচ খেলেছিলাম, যেটায় আমরা হেরেছিলাম। নিশ্চিতভাবেই ভুটান নিজেদের মাঠে শক্তিশালী দল।’
সাম্প্রতিক সময়ের উদাহরণ টেনে আনলেন তিনি, ‘কিছুদিন আগেও ভুটান এখানে (নিজেদের মাঠে) হংকংকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল। এটা মাথায় রেখেই আমাদের মাঠে নামতে হবে এবং ওরা ওদের ঘরের মাঠে কতটা শক্তিশালী, সেটা আমাদের মাথায় আছে। ওদের দলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চেনচো গেইলস্টেন। এটা খেলোয়াড়দের মতো কোচিং স্টাফরাও জানে। এটা নিয়ে আমরা বিশদভাবে কাজ করবো, তাহলে আমাদের ভালো হবে।’
এবার তপুর আশা, সব বাধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, ‘ভুটান স্বাভাবিকভাবে উঁচু দেশ। এখানকার উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা হাইকিং করেছি। আমার মনে হয়, এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা সেশন ছিল এবং উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখানে আমরা একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছি, সেটা হচ্ছে যে কোনোভাবে এই ম্যাচগুলো আমাদের জিততে হবে। সব খেলোয়াড়কে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমরা সবাই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছি।’