শুরু থেকে ম্যাচে দাপট দেখালো বাংলাদেশ। তবে ফিনিশিং দুর্বলতায় একটির বেশি গোল এলো না। মালদ্বীপ পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে ধারার বিপরীতে গোল শোধ করলে হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। তাতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে লাল সবুজ দলের খেলা পড়ে গেলো শঙ্কায়। ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে।
ভুটানের চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টে ভারত ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে শীর্ষে। ১টি করে পয়েন্ট বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী ভারত ও মালদ্বীপ। এ ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করবে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালের টিকেট পাবে কোন দুই দল। ভারতের বিপক্ষে ড্র করলেও সেরা চারে উঠবে মালদ্বীপ।
শুরু থেকে মালদ্বীপের রক্ষণে হানা দিতে থাকে বাংলাদেশ। ১২ মিনিটে অপু রহমানের দুর্বল সাইড ভলি গোলকিপারকে ফাঁকি দিতে পারেনি। একটু পর সতীর্থের কাটব্যাকে ছোট বক্সের একটু ওপর থেকে মোর্শেদ আলির শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়।
২৪ মিনিটে কর্নারের পর জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি বাংলাদেশ। ৩৭ মিনিটে সতীর্থের ক্রস ছোট বক্সের ভেতরে নাজমুল হুদা ফয়সাল বুক দিয়ে বল নামালেও শট নিতে পারেননি, তার আগেই ক্লিয়ার করেন মালদ্বীপের এক খেলোয়াড়।
বিরতির আগেও প্রতিপক্ষের বক্সে বেশ চাপ দেয় বাংলাদেশ, কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় গোল পাওয়া হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙিক্ষত গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বক্সের ঠিক উপর থেকে মোর্শেদের বাঁ পায়ের বাঁকানো শট গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে।
ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো ৬৮ মিনিটে। মোর্শেদের ক্রসে জালে বল জড়িয়েছিলেন অপু, কিন্তু এর আগে ফাউল হওয়ায় বাজে রেফারির বাঁশি।
৭৯ মিনিটে সমতায় ফেরে মালদ্বীপ। সতীর্থের লম্বা ক্রস দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ ইলান ইমরান।
৮৪ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। সতীর্থের ক্রসে রিফাত কাজীর ব্যাক হিল ফ্লিকের পর গোলমুখ থেকে টোকা দিতে পারেননি মোর্শেদ।
দুই মিনিট পর হতাশা বাড়ান অধিনায়ক নাজমুল। গতি দিয়ে ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে আগুয়ান গোলকিপারকে কাটানোর পর বাইরের জাল কাঁপান তিনি।
যোগ করা সময়েও বাংলাদেশের দুটি প্রচেষ্টা আটকে মালদ্বীপকে ড্র এনে দেন গোলকিপার।