শাকিল হোসেনের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আবাহনী লিমিটেড ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে। মোহাম্মদ ইব্রাহিম পেনাল্টি পেয়েও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেননি। তারপরও প্রিমিয়ার লিগে আকাশি-নীল জার্সিধারীদের জয় বঞ্চিত করা যায়নি। শাকিলের একমাত্র গোলে আবাহনী হারিয়েছে রহমতগঞ্জকে।
মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ নিয়মিত গোলকিপার মিতুল মারমা খেলেননি। তার জায়গায় মাহফুজ হাসান প্রীতম ছিলেন একাদশে। তবে কামাল বাবুর দল প্রীতমের সেভাবে বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। বরং দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করেছে কমই। তা থেকে গোল এসেছে মাত্র একটি।
প্রথমার্ধে পুরানো ঢাকার দলটির সামনে সুযোগ আসে। ১০ মিনিটে আবাহনীর রক্ষণের ভুলে রহমতগঞ্জের সামনে যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল। বক্সের ভেতর থেকে মোহাম্মদ হৃদয় ব্যাক পাস বাড়ান গোলকিপারের উদ্দেশ্যে, কিন্তু গতি ছিল না মোটেই। স্যামুয়েল বোয়াটেং ও তাজ উদ্দিন ছুটে গিয়ে বলের নাগাল পাওয়ার আগেই দ্রুত ক্লিয়ার করেন আবাহনী গোলকিপার প্রীতম।
৩৫ মিনিটে তাজ উদ্দিনের আড়াআড়ি ক্রসে গোলমুখ থেকে ব্যাকহিল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বোয়াটেং কিন্তু বলের সঙ্গে সংযোগ করতে পারেননি এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। আবাহনী প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে গেলেও গোল পায়নি।
আবাহনী প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে ৫৫ মিনিটে। বাইলাইনের একটু উপর থেকে সতীর্থের বাড়ানো কাট ব্যাক ছোট বক্সে দাঁড়িয়ে উড়িয়ে মারেন মাহাদি ইউসুফ।
৫৯ মিনিটে জীবনের ফ্রি কিকে ইশতেকারুল ইসলাম শাকিলের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যেতে পারেনি।
৬৮ মিনিটে আবাহনী এগিয়ে যায়। একজনের ক্রস এক ডিফেন্ডার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, বক্সের ভেতরে থাকা আবাহনীর আরেকজন খেলোয়াড় পাস দেন শাকিলের কাছে। এই ডিফেন্ডার ফাঁকায় বক্সের প্রান্ত থেকে ডান পায়ের মাপা শটে জড়িয়ে দেন জালে। গোলকিপার মামুন আলিফ ঝাঁপালেও বলের নাগাল পাননি।
৭৯ মিনিটে রহমতগঞ্জের মেরাজ হোসেনের হেড গোললাইন থেকে ক্লিয়ার হয়। শেষ দিকে এসে খেলা আরও জমে ওঠে। আবাহনীর পোস্টের সামনে দুইদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। তবে তা বেশিদূর গড়ায়নি।
আবাহনী ৮ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। রহমতগঞ্জ সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে আগের ১৫ পয়েন্টে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে।