চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবিস্মরণীয় এক রাতের জন্ম দিয়েছেন ডেক্লান রাইস। তার অসাধারণ দুটি ফ্রি কিকেই কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্সেনাল। যার প্রথম বাঁকানো ফ্রি কিকটি ছিল চোখ ধাঁধানো। ম্যাচের পর চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া সেই গোল কীভাবে এলো তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
৫৮ মিনিটে প্রথম ফ্রি-কিকের পেছনে বুকায়ো সাকার ভূমিকার কথা জানান রাইস। অথচ সেট-পিস কোচ নিকোলাস জোভার তাকে বলেছিলেন বলটি ক্রস করতে। সেই জায়গায় সাকা বলেন, সরাসরি শট নেওয়ার জন্য।
প্রথম ফ্রি-কিকের ঠিক আগে জোভারকে রাইসকে নির্দেশ দিতে দেখা যায়। এই মৌসুমে আর্সেনালের সেট-পিস থেকে গোলের সাফল্যের পেছনে জোভারের বড় অবদান থাকায় অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন তিনি হয়তো রাইসকে বল বাঁকিয়ে মারার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু রাইস জানান, ব্যাপারটা আসলে ঠিক উল্টো ঘটেছিল, ‘‘সে (জোভার) আমাকে বলছিল ক্রস করতে। এটা তখন আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি। আমি খুশি যে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুকায়ো বলেছিল, ‘যদি অনুভব করো, তাহলে মেরে দাও।’ আমি মানবদেয়ালের অবস্থান আর কিপারকে দেখে ভাবলাম, আমি এটা বাইরে দিয়ে বাঁকিয়ে মারতে পারবো।’’
শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে বলেছেন, ‘শুরুতে আমরা ক্রস করতেই চেয়েছিলাম, কিন্তু দেয়াল আর কিপারের পজিশন দেখে মনে হলো, এখনই সুযোগ। তাই মেরে দিয়েছি।’
প্রথম গোলটা ফ্রি কিকে বাঁকানো শটে হলেও ৭০ মিনিটে দ্বিতীয়টা সেরকম ছিল না। তবে সেটা ছিল বুলেট গতির। রাইস বলছিলেন, ‘দ্বিতীয় ফ্রি-কিক অনেকটা দূর থেকে ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম দেয়ালের ওপর দিয়ে মারবো, কিন্তু আমি গোলকিপারের পাশে মারার অনুশীলন অনেক করেছি, তাই সেইটাই করলাম। প্রথম গোলটার পর থেকেই আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছিলাম।’
ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম ফ্রি কিক থেকে গোল পেয়েছেন রাইস। নিজের অতিমানবীয় পারফরম্যান্স নিয়ে বলেছেন, ‘এখন হয়তো ঠিক বুঝতে পারছি না, কারণ আরেকটা লেগ বাকি। কিন্তু কয়েক বছর পর হয়তো বুঝতে পারবো যে, এই রাতে আমি কতটা স্পেশাল কিছু করেছি। আমার পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই অনেকে বলেছে আমি যেন বেশি শট নেই, আরও সুযোগ তৈরি করি। এটা আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। নিজেকে বারবার মনে করাতে হবে যে, আমি এটা করতে পারি।’