আরবি লাইপজিগের মাঠে এক ঘণ্টারও বেশি সময় দুই গোলে পিছিয়ে ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। বুন্দেসলিগায় তাদের শিরোপা উৎসবের জন্য আরও অপেক্ষা বাড়ানোর বন্দোবস্ত করছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়ে গুনে গুনে তিন গোল দেয় মিউনিখ ক্লাব। নাটকের বাকি তখনও ছিল। জিতে যখন শিরোপা উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বায়ার্ন, তখনই শেষ মুহূর্তে লাইপজিগ নাটকীয়ভাবে গোল করে তাদের শিরোপার অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে দিলো। ছয় গোলের থ্রিলার ড্র হয়েছে ৩-৩ গোলে।
রেড বুল এরেনায় হারতে হারতেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে ড্রয়ে নিশ্চিতভাবে হতাশ বায়ার্ন। লিগের দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। শিরোপা থেকে আর একটি পয়েন্ট দূরে তারা। তবে রবিবার এসসি ফ্রেইবুর্গের মাঠে বেয়ার লেভারকুসেন জিততে ব্যর্থ হলে মাঠের বাইরে থেকেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুখবর পাবে মিউনিখ। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেন। তারা ম্যাচটি জিতে গেলে অবশ্য ১০ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বায়ার্নকে। আগামী শনিবার বরুসিয়া মনশেনগ্লাদবাখকে স্বাগত জানাবে ভিনসেন্ত কোম্পানির দল। হার এড়ালেই ঘরের মাঠে শিরোপা উৎসব করবে মিউনিখ ক্লাব।
শনিবারের খেলায় ১১তম মিনিটে বেঞ্জামিন সেসকোর গোলে লিড নেয় লাইপজিগ। বিরতির আগে তারা ২-০ তে এগিয়ে যায়। ৩৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন লুকাস ক্লোস্টারমান।
হঠাৎই দারুণ আক্রমণে চোখের পলকে দুটি গোল শোধ দেয় বায়ার্ন। দুই মিনিটে জোড়া গোল করে তারা। চলতি মৌসুম শেষে মিউনিখ ছাড়তে যাওয়া এরিক ডায়ার ৬২ মিনিটে প্রথম গোল করেন। পরের মিনিটে সমতা ফেরান মিকায়েল অলিসে। স্কোর সমান সমান হওয়ার পর আরও উজ্জীবিত পারফরম্যান্স করে তৃতীয় গোল আদায় করে বায়ার্ন। লেরয় সানের ৮৩ মিনিটের গোলে জয়ই দেখছিল অতিথিরা।
স্টপেজ টাইমের চতুর্থ মিনিটে ইউসুফ পাওলসেনের গোলে নাটকীয়ভাবে সমতা ফেরায় লাইপজিগ। তাতে রেকর্ড ৩৪তম শিরোপার জন্য বায়ার্নের অপেক্ষা আরেকটু বিলম্বিত হলো।