মাঠের বাইরে থেকেই সুখবর পেয়ে গেলো মোহামেডান। শনিবার ফর্টিসের কাছে আবাহনীর হারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। ২৩ বছর পর দেশের শীর্ষ ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলো সাদা-কালো জার্সিধারীরা।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে হেরে গেছে আবাহনী। লিগের তিন ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করলো মোহামেডান। ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৮। সমান খেলে ২৮ পয়েন্ট দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর। বাকি তিন ম্যাচ মোহামেডান হারলে তারা সবগলো জিতলেও পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচাতে পারবে না।
২০০৭ সালে পেশাদার লিগ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ট্রফি জিতলো সাদা-কালো জার্সিধারীরা। ২০০২ সালের পর এটি তাদের প্রথম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা।
আবাহনীর রক্ষণে শুরু থেকে চাপ দিতে থাকে ফর্টিস। ১১ মিনিট পা ওমার বাবুর শট রক্ষণ থেকে ফিরে আসে। ১৮ মিনিট খেলার পর বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে ২০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।
ফিরেই পেনাল্টি পায় ফর্টিস। ১৯ মিনিটে মিতুল মারমাকে পরাস্ত করে তারা লিড পায় পা ওমারের গোলে। গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডই বক্সে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন।
মাঠে পানি জমার কারণে দুই দলের খেলায় ছন্দ পতন হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে গেছে আবাহনী। কিন্তু রক্ষণ জমাট রেখে তাদের হতাশ করে ফর্টিস।
৬৬ মিনিটে আবাহনী ভালো একটি সুযোগ পেলেও রাফায়েলের ক্রসে বক্সে জটলার ভেতর থেকে এমেকা ওগবাহর শট আটকে দেন ফর্টিস গোলকিপার সারোয়ার জাহান।
১০ মিনিট পর ধাক্কা খায় ফর্টিস। বল দখলের লড়াইয়ের আবাহনীর সুমন রেজার সঙ্গে সংঘর্ষের খেসারত দেন ফর্টিসের মঞ্জুর রহমান মানিক। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তিনি। সুমন হলুদ কার্ডে পার পেয়ে যান।
তারপরও আবাহনী ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বরং দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে সাজেদ জুম্মন নিঝুম দূরপাল্লার শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৮০ মিনিটে আবাহনী একটি গোল শোধ দিলেও পরে আর সমতা ফেরাতে পারেনি, গোলটি করেন মোহাম্মদ হৃদয়। রাফায়েল আগুস্তোর ফ্রি কিকে হেডে জাল কাঁপান তিনি।