বিশ্ব হকি লিগ, এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়ান গেমস, সি গেমস ও জুনিয়র এশিয়া কাপের পর এবার নেশন্স কাপ হকি টুতে আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের শাহবাজ আলী।
১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ওমানে হবে বৈশ্বিক আসরটি। সেখানে অংশ নেবে স্বাগতিক ওমান, চীন, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড ও মিশর। টুর্নামেন্টটি পরিচালনা করার জন্য এশিয়া থেকে চারজন ছেলের মধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক আম্পায়ার শাহবাজ মনোনীত হয়েছেন। অন্যরা ভারত, মালয়েশিয়া, ওমান, জাপান ও স্কটল্যান্ডের। শেষের দুজন জন আবার নারী আম্পায়ার।
আজ রাতে ওমানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন শাহবাজ। যাওয়ার আগে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘ইনডোর বিশ্বকাপে আমি রিজার্ভ হিসেবে ১৭তম আম্পায়ার ছিলাম। আগের রিপোর্ট দেখে বিশ্ব হকি সংস্থা এফআইএইচ আমাকে মনোনীত করেছে। এই টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে তখন উন্নতি হবে। সেন্টার আম্পায়ার অথবা হাই পটেনশিয়াল আম্পায়ার হিসেবে তখন আরও ওপরের আসরে বাঁশি বাজাতে পারবো।’
বাংলাদেশে দুজন আম্পায়ার সেলিম লাকী ও শাহবাজ ঘরোয়া হকির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনামের সঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন। দেশে ঘরোয়া হকি অনিয়মিত। তারপরও কীভাবে ফিটনেস ধরে রেখে দেশের বাইরে বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ৩১ বছর বয়সী শাহবাজ বলেছেন, ‘আমাদের তো কোনও চাকরি নেই। খেলোয়াড়রা চাকরির সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের তা নেই। নিজেদের তাগিদ থেকে লাকি ভাই ও আমরা ফিটনেস ধরে রাখি। এছাড়া তিন মাস আগে থেকে আমাদের অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে রাখে। তখন থেকেই নিজেদের তৈরি করে থাকি। তবে সারা বছর দেশে খেলা হলে ভালো হতো। আমাদের ফিটনেস বা ক্যারিয়ার নিয়ে অত ভাবতে হতো না।’
পুরান ঢাকার ছেলে শাহবাজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ৯ বছরের মতো। আর পুরো আম্পায়ারিংয়ের ক্যারিয়ার ১৮ বছরের। শাহবাজের স্বপ্ন একসময় সিনিয়র বিশ্বকাপ ও প্রো লিগ, ইউরো হকি ও অলিম্পিকে আম্পায়ারিং করবেন। সেই স্বপ্নে এগিয়ে চলেছেন।