নিউজিল্যান্ডে ভারতের পারফরম্যান্স হতাশাজনক, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। কিউইদের মাটিতে মাত্র দুটি সিরিজ জিতেছে তারা। ছয় বছর আগে সর্বশেষ সফরও ভালো কাটেনি, হেরে যায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। তবে বিরাট কোহলির বিশ্বাস, সেই দলের চেয়ে বর্তমান দল অনেক ভালো।
১৯৬৮ সালে প্রথমবার কিন্তু সাফল্য পেয়েছিল ভারত, মনসুর আলী খান পতৌদির নেতৃত্বে সিরিজ জিতেছিল ৩-১ ব্যবধানে। কিন্তু এরপর থেকে নিউজিল্যান্ড সফর মানেই তাদের জন্য হতাশা। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ২০০৯ সালে ধরা দেয় সাফল্য, মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নেয় ১-০তে। হ্যাডলি-মার্টিন ক্রোর দেশে ২৩টি টেস্ট খেলে মাত্র ৫টি জিতেছে ভারত, হার ৮টি, বাকি ১০ ম্যাচ ড্র।
২০১৪ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে (একটি করে ডাবল ও ট্রিপল সেঞ্চুরি সহ ৫৩৫ রান) দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০তে জিতেছিল স্বাগতিকেরা। এবারও দুটি টেস্ট খেলবে ভারত। তবে শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া সিরিজে অন্য ‘টিম ইন্ডিয়া’কে দেখা যাবে বলে মনে করেন কোহলি, ‘আমরা আর আগের মতো দল নই। আমরা এখন পরিপূর্ণ একটি দল।’ প্রস্তুতি নিয়েও সন্তুষ্ট ভারত অধিনায়ক, ‘আমরা ফিটনেস আর মনোসংযোগ স্তরকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছি যেন বিশ্বের যেকোনও জায়গায় যেকোনও দলের বিপক্ষে লড়াই করতে পারি। আত্মবিশ্বাস নিয়েই সিরিজটা খেলতে নামবো।’
অবশ্য কিউইদের কঠিন প্রতিপক্ষও মানেন কোহলি, ‘ওদের দলে দক্ষ বোলার-ব্যাটসম্যান আর দুর্দান্ত ফিল্ডার আছে। ওরা প্রতিপক্ষকে একদমই সুযোগ দেয় না। তাই সুযোগের অপেক্ষায় থেকে তা সদ্ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
এবারের নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে ভারতের, টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে কিউইদের। যদিও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে নিজেরাই। তবে কোহলি ওয়ানডের ব্যর্থতাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না, ‘যেকোনও কিছু দ্রুত পাল্টে যেতে পারে। ওয়ানডে সিরিজে আমরা ৩-০ তে হেরেছি। অথচ সিরিজ শুরু হওয়ার আগে বোঝাই যায়নি এমন ফল হবে। আসলে ঠিক সময়ে ছন্দ ফিরে পেলেই আপনি ভালো খেলতে শুরু করবেন।’