ক্রিকেটে ‘তিন মোড়ল’ তত্ত্বের মূল হোতা আইসিসির সাবেক চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন। কিন্তু তার পদচ্যুতির পর পর আইসিসি থেকে সেই তত্ত্বের বিনাশে মূল ভূমিকা ছিল শশাঙ্ক মনোহরের। তার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনায় মুখর হলেন বিতর্কিত সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রধান শ্রীনিবাসন।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় ভারতের ক্রিকেট মহলের অনেকেই তাকে দেখতে পারছিলেন না।তার মধ্যে শ্রীনিবাসন অন্যতম। এর কারণও আছে। শ্রীনিবাসন যেখানে ভারতকে সবচেয়ে বেশি লাভবান করতে চেয়েছিলেন। সেখানে মনোহর ছিলেন ‘ভারসাম্য নীতি’ অবলম্বনের ভূমিকায়। তাই শ্রীনিবাসন একেবারে ‘ভারত-বিরোধী’ তকমা দিয়েছেন মনোহরকে। বলতে চাইলেন ক্ষমতা ছেড়ে এখন পালাতে চাইছেন মনোহর, ‘বিসিসিআইতে যখনই নতুন নেতৃত্বের উৎপত্তি হলো, শশাঙ্ক জানতো, সে ভারতকে কোনওভাবে প্রনিধিত্ব করতে পারবে না। আর এটাইকেই সে ব্যবহার করেছে। কারণ সে জানে, আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এ জন্যই সে পালাতে চাইছে।’
২০১৫ সালে আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন মনোহর। দুই বার দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পরই দায়িত্ব ছাড়লেন। তার জায়গায় অন্তর্বর্তী দায়িত্বে আছেন ডেপুটি ইমরান খাজা। মনোহর চাইলেই কিন্তু তার মেয়াদ বাড়াতে পারতেন। কারণ স্বাধীন চেয়ারম্যানের সর্বোচ্চ তিনবার পদে থাকার নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু শ্রীনিবাসন মনে করছেন, মনোহর এখন পালাতে চাইছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সে ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করেছে। তাই ভারতে যারা এই ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত, তারা সবাই মনোহরের চলে যাওয়ায় আনন্দিত। কারণ খেলায় সে ভারতের আর্থিক সুবিধা কমিয়ে দিয়েছে। আইসিসিতেও ভারতের সুবিধা কমিয়ে দিয়েছে। সে আসলে ভারত-বিরোধী। বিশ্ব ক্রিকেটে সে ভারতের আধিপত্য কমিয়ে দিয়েছে।’