দুই বছর আগে ঘরের মাঠে নেপালের কাছে ২-০ গোলে হারের লজ্জা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সাফের সেই হারের পর গত বছর কাঠমাণ্ডুর এসএ গেমসেও হার ছিল সঙ্গী (১-০)। ওই দুটি ম্যাচে ভালো খেলেও গোল করতে পারেনি জামাল-জীবনরা। উল্টো কিছু কিছু ভুলের কারণে গোল হজম করতে হয়েছিল। দুঃসহ স্মৃতিগুলো এখনও মনে আছে মিডফিল্ডার সোহেল রানার। নিজেদের আগের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে তা শোধরানোর অপেক্ষায় আছেন তিনি।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সকালে আগের মতোই ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন ফুটবলাররা। আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর হবে এই দুটি ম্যাচ। এবার নেপালকে কীভাবে আটকানো যায়, সেই পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করছেন সোহেল রানা। দুই দলের তুলনা করতে গিয়ে নিজেদের এগিয়ে রেখে তিনি বলেছেন, ‘নেপাল ও বাংলাদেশ দলের মধ্যে তুলনা করলে অবশ্যই আমরা ভালো। কিছু কিছু সিলি মিসটেকের জন্য আমরা ম্যাচে হেরে যাই। মান বিচার করলে আমরা ভালো দল। অতীতে যে ভুলগুলো করেছি, সামনের খেলাগুলায় আশা করবো তা সংশোধন করে দুটি ম্যাচ জিততে। সেই লক্ষেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
দুই দলের মধ্যে চ্যালেঞ্জিং জায়গা কোনটি? এমন প্রশ্নের উত্তরে সোহেল রানা বলেছেন, ‘দল হিসেবে নেপাল ভালো। কিন্তু এককভাবে চিন্তা করলে ওরা আমাদের থেকে এতো ভালো না। দলগতভাবে তারা শক্তিশালী। তাদের দুর্বল জায়গাগুলো আমাদের জানা আছে। সামনের দুই ম্যাচে আমাদের চিন্তা-ভাবনা আছে, ফিটনেস ঠিক করে যেন ভালোভাবে খেলতে পারি, ভালো ফল পেতে পারি। এই লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করছি।’
অনুশীলনে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াই চলছে এখনও। জিম থেকে শুরু করে সবকিছুই হচ্ছে। সোহেল রানা ফিটনেসের অগ্রগতি নিয়ে বলেছেন, ‘কোচ আমাদের ফিটসনসের ওপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। যেহেতু আমরা লম্বা সময় খেলার বাইরে ছিলাম। প্রথম সপ্তাহে রানিং বলে অনুশীলন হচ্ছে। গতকাল জিমেও কিছু অনুশীলন ছিল। আজকে আবার ফিটনেসের ওপর বেশি কাজ হচ্ছে। প্রথমে বলে ট্রেনিং হয়েছে ৪০ মিনিটের মতো।(এরপর) এনডুরেন্স বাড়ানোর জন্য ট্রেনিং হয়েছে।’