X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে বিশেষ গুরুত্ব ই-কমার্স ও মোবাইল ইনোভেশনে

টেক রিপোর্ট
২১ অক্টোবর ২০১৬, ১১:১৯আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৬, ১১:২১

ডিজিটাল ওর্য়াল্ড ২০১৬ ই-কমার্স নামটির সঙ্গে এখন মোটামুটি সবাই পরিচিত। ঘরে বসে সব ধরনের পণ্য পেতে এসব প্রতিষ্ঠানের জুড়ি নেই। বিশেষ করে যারা আরামপ্রিয় কিংবা শৌখিন তাদের জীবনকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে ই-কমার্স।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার কারণে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের দিকে ঝুঁকছে। ই-কমার্সের দিকে ঝোঁকার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো এই প্ল্যাটফর্মে বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়।

ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী কয়েক বছরে এটা বাংলাদেশের অন্যতম একটি অর্থনৈতিক খাত হয়ে দাঁড়াবে। সরকারও সেজন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তারই অংশ হিসেবে এবারের ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ এ বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ই-কমার্সের বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা।

ই-কমার্স কোম্পানিসহ এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন ধরনের ৫ হাজার উদ্যোক্তা রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে ৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের খুচরা বাজারগুলোর ২-৩ শতাংশ অনলাইনে আনা সম্ভব হলে অনলাইন বাজারের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। যেখানে অন্তত ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

প্রদর্শনীতে এ বছর ই-কমার্সের ১১টি স্টল ছাড়াও থাকবে ৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ৪টি প্যাভিলিয়ন। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড শুরু হবে ১৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। অনুষ্ঠানটি চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের ভেন্যু বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার।

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের এবারের প্রতিপাদ্য ‘নন স্টপ বাংলাদেশ।’

২০১৮ সালে ১০০ কোটি এবং ২০২১ সালে ৫০০ কোটি ডলারের সফটওয়্যার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এ প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে আইসিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোথায় ছিল, কোথায় আছে এবং কোথায় যেতে চায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কেই দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে।

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ই-কমার্সের মতো মোবাইল ইনোভেশনকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্মার্টফোন খাতটি আমাদের দেশের জন্য বেশ সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। বর্তমানে সারাবিশ্বে স্মার্টফোন সম্পর্কিত সফটওয়্যারের জন্য বাংলাদেশ একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং গেমে উন্নতি বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ সাফল্য নিয়ে এসেছে।

গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) ঢাকা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রেনিউর ল্যাবের এক যৌথ গবেষণায় জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি মিনিটে ১২টি মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে যার ৭টিই স্মার্টফোন।

বর্তমানে স্মার্টফোনের চাহিদাই বেশি। ২০১৫ সালে দেশে মোট ২ কোটি ৬০ লাখ মোবাইল ফোন সেট আমদানি হয়েছে। এর ২৩ ভাগ (৬০ লাখ) হলো স্মার্টফোন। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) বলছে, ২০১৬ সালে মোবাইল ফোন আমদানির সংখ্যা হতে পারে ৩ কোটি।

অন্যদিকে সরকার জনগণকে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য মোবাইল প্ল্যাটফর্মটি শিক্ষা, প্রশাসন ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। মোবাইল ব্যাংকিং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আর এ বিষয়গুলো সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই প্রদর্শনীতে মোবাইল ইনোভেশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।

এই দুটি বিষয় ছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অনেক দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও এতে থাকবে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা, হাইটেক জোনের জন্য বিজনেস মডেল, ই-কমার্স গ্রামাঞ্চলে বিস্তৃত করার উপায়, আইসিটির মাধ্যমে ব্যবসার দক্ষতা অর্জন, আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প, ডিজিটাল টেক কনফারেন্স, ই-হেলথ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে থাকছে অ্যাওয়ার্ড বিতরণ।

প্রদর্শনীতে ই-কমার্স এবং মোবাইল ইনোভেশন ছাড়াও স্থান পাবে ই-গভার্নেন্স, স্টার্ট-আপ জোন, সফটওয়্যার প্রদর্শনী ইত্যাদি। প্রদর্শনীতে রূপকল্প ২০২১ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পথে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। এতে সরকারের ই-সার্ভিসের নানান দিক তুলে ধরা হবে। এ বছর ৪০টিরও বেশি স্টল সরকারের এসব ই-সার্ভিসের বিষয়গুলো সবার সামনে তুলে ধরবে।

অন্যদিকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে এবারই প্রথমবারের মতো স্টার্ট-আপ জোনের আয়োজন করা হচ্ছে। এই জোনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো স্টার্ট-আপগুলোর পণ্য এবং সেবা মানুষের সামনে তুলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। অতীতে স্টার্ট-আপগুলো অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এর মূল কারণ যেসব আইডিয়াকে ভিত্তি করে তারা এসব কাজ শুরু করেছে সেগুলো ছিল একেবারেই নতুন। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজার তখনও পর্যন্ত তৈরি ছিল না। সেজন্যই এবার সরকার স্টার্ট-আপগুলোর জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে যেন তারা বাজার সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেতে পারে। এছাড়া এই প্রদর্শনী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার বিস্তৃতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 /এইচএএইচ/এসটি/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ