চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় দেশের জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৩০০ ‘স্কুল অব ফিউচার ও ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ইন্সটিটিউট’। এবার এগুলোতে যুক্ত হচ্ছে একটি করে ড্রোন, থ্রিডি প্রিন্টার, এআর, ভিআর ও আধুনিক ল্যাব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণরা যেন আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেই লক্ষ্যে আগামী রোবট অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার আগেই এসব বিষয় যুক্ত হচ্ছে।’ সময়ের প্রয়োজনে রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়, এটা এখন স্মার্টফোনের মতোই প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
শুক্রবার (২৯ সেস্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২৩-এর জাতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মানবসম্পদকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে আগামী দিনে যে সব দেশে সোনা, রুপাসহ খনিজ সম্পদ রয়েছে তাদের চেয়েও বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধশালী হবে। এখন যোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রেই রোবটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। জাপান যদি রোবটকে কাপড় কাটা শিখিয়ে ফেলে তবে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক খাত। তাই রোবট বানানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর কাজে সেই রোবট আমরা ব্যবহার করবো। বিদেশেও রফতানি করবো।’
উদ্বোধকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরা তাদের বুদ্ধি দিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। আমরা রোবট বানালেও রোবট হবো না।’
আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেঁজুতি রহমান, বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল বক্তব্য দেন।