কনকনে ঠাণ্ডা। শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ। কনকনে ঠাণ্ডার মাঝে হঠাৎ উষ্ণতার ছোঁয়া। মনে হবে পাশ থেকে কেউ আগুন জ্বালিয়েছে। পাশ থেকে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী শীতার্ত মানুষের গায়ে জড়িয়ে দিচ্ছে কম্বল। ‘সাহায্য নয় উপহার, পাশে থাকবো অঙ্গীকার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার (সুপারিশপ্রাপ্ত) পরিবারের উদ্যোগে উত্তরবঙ্গ, চরাঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চল, বন্যাকবলিত অঞ্চলসহ ঢাকার ছিন্নমূল শীতার্তদের মাঝে ২ হাজার ৫০০টি ভালো মানের কম্বল, ৩ হাজার মাস্ক, ২ হাজার ১৫০টি পেট্রোলিয়াম জেলি বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার ১৮ ডিসেম্বর সারাদেশের (ঢাকা,সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, নাটোর, নওগাঁ, রংপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি,নেত্রকোনা) ১৫টি শীতপ্রধান ও দারিদ্র্যের ঘেরাটোপে আবদ্ধ জেলাসমূহে একযোগে শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার পরিবারের সদস্যবৃন্দ এই বিতরণী কাজ সম্পন্ন করেছে।
সার্বিক বাস্তবায়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক স্বেচ্ছাসেবী সহায়তা করে। এ সময় তারা বলেছেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমরা পড়াশোনা করেছি, সুতরাং তাদের পাশে আমাদের সর্বদা সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসা নৈতিক দায়িত্ব।’
কার্যক্রমের শুরুতে সুপারিশপ্রাপ্ত ক্যাডারবৃন্দ দুর্গম চর, পাহাড় ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রকৃত শীতার্ত মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেরা তালিকা তৈরি করেছেন, টোকেন দিয়েছেন এবং প্রশাসনের উপস্থিতিতে তারা বিতরণী কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বদলে দিয়েছে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের বাস্তবতা। করোনাভাইরাসের মাঝে একদিকে শীত, অন্য দিকে হিমেল হাওয়া আর গরম কাপড় না থাকার কষ্ট ও শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত মানুষের অসহায়ত্ব উপলব্ধি করে ৩৮তম বিসিএস (সুপারিশপ্রাপ্ত) পরিবার শীত বস্ত্র বিতরণের মতো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দেশের সেবায় যোগদানের পুর্বেই তাদের এ উদ্যোগ প্রত্যন্ত অঞ্চলের শীতার্ত মানুষের মনে উষ্ণতার পরশ বুলিয়েছে। এর আগে এ বছর বন্যা কবলিত মানুষের জন্যও তারা উপহার পাঠিয়েছিল। দেশের মানুষের যেকোনও বিপদে পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ৩৮তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ২২০৪ জন ভবিষ্যৎ সিভিল সার্ভেন্ট।