হলি আর্টিজানে হামলার পর সেখানে উপস্থিত নারীরা জঙ্গিদের কাছে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া আকুতি জানিয়েছিলেন। তাদের এই আকুতি শোনেনি জঙ্গিরা। তবে কোনও কোনও মেয়েকে তাদের পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দিয়েছিল তারা। আদালতে সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে এমনটাই জানিয়েছেন গুলশান হামলায় বেঁচে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক সাত প্রাকাশ।
তিনি জবানবন্দিতে বলেন, ‘বন্দুকধারী এক হামলাকারী আমাকে রেস্তোরাঁর ভেতরে গিয়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে বসতে বললো। তারা আমাকে টেবিলে মাথা রেখে চেয়ারে বসতে বাধ্য করে। টেবিলের নিচে দুটি মেয়ে লুকিয়েছিল। হামলাকারীরা তাদেরকে বেরিয়ে এসে আমার পাশে বসতে বললো। ওই নারীরা তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া জন্য হামলাকারীদের কাছে অনুরোধ করছিলেন।’
জবাবে হামলাকারীরা জানায়, ‘আমাদের বিবেচনায় আপনারা যদি কাফের না হন, তাহলে আমরা আপনাদের কোনও ক্ষতি করবো না। তারা বলে যে, যারা কাফের নয় তাদের কোনও ক্ষতি তারা করবে না।’
ছেড়ে না দিলেও কোনও কোনও মেয়েকে মোবাইলে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় বলে জানান সাত প্রাকাশ। তিনি বলেন, ‘এক হামলাকারী আমার কাছে জানতে চায় মিডিয়ায় কিংবা পুলিশের কাউকে আমি চিনি কিনা। আমি জবাব দেই ‘না’। এ কথা শুনে এক মেয়ে তার মাকে ফোন করে লাউড স্পিকারে কথা বলেন। তিনি তার মাকে বলেন, আম্মা, তাড়াতাড়ি বেনজির আঙ্কেলকে বলো আমি গুলশান আটকে আছি।’
/এসটি/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
হত্যার পর মোবাইলে খবর পড়ে হামলাকারীরা
তাহমিদ-হাসনাতকে নিয়ে যা যা বললেন সাত প্রকাশ
ইংরেজি জবানবন্দির একটি বাক্য বাংলায়
মিডিয়া বা পুলিশের কাউকে চেনেন?
মোবাইলগুলো কেড়ে নেয় হামলাকারীরা
তাহমিদের হাতে কোরআন শরিফ দেয় এক হামলাকারী