X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

বান্দরবানে ‘সাংগ্রাই’ পালনে উৎসবমুখর পাহাড়ি পল্লি

নজরুল ইসলাম (টিটু), বান্দরবান
১২ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৩৯আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৩৯

ফুল সাংগ্রাই আর একদিন পরই শনিবার (১৩ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে পাহাড়ি মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই বা বৈসাবি। উৎসবকে ঘিরে পোশাক কেনা-কাটা ও ঘরবাড়ি গোছানোসহ বান্দরবানের মারমাদের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। চারিদিকে এখন সাজ সাজ রব। পুরো পার্বত্য বান্দরবানে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

খেলায় মেতেছে তরুণরা ১৩ এপ্রিল বান্দরবানে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই উৎসবকে স্বাগত জানাবে। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত চার দিনব্যাপী উৎসব চলবে। উৎসবের মধ্যে রয়েছে— সমবেত প্রার্থনা, দুই দিনব্যাপী জলকেলি (পানি খেলা), পিঠা তৈরি, ঘিলা খেলা, বৌদ্ধ মূর্তি স্নান, হাজারো প্রদীপ প্রজ্বালন, বয়স্ক পূজা ও নিজস্ব ঐতিহ্যবাসী নৃত্য-গানসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পানিবর্ষণ মারমা নারী নেনি প্রু বলেন, ‘এটি আমাদের একটি সামাজিক উৎসব। উৎসবটি নানা আয়োজনে পালন করে থাকি। মৈত্রী পানি বর্ষণের মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করি আমরা। শীতল-ঠাণ্ডা পানির পরশে সবার মন যেন শীতল হয়ে ওঠে। পানির মাধ্যমে সব ময়লা যেভাবে দূর হয়ে যায়, সেভাবেই যেন আমাদের সবার মনের ময়লাও দূর হয়ে যায়। এ কারণেই আমরা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব পালন করে থাকি।’

প্রার্থনারত মারমারা সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি কো কো চিং মারমা বলেন, ‘১৩ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সাংগ্রাই উৎসব পালন করতে যাচ্ছি। এ উপলক্ষে ১৩ তারিখ সকাল ১০টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এর সূচনা করা হবে। পরে ১৪ তারিখ বুদ্ধ মূর্তি স্নান এর মাধ্যমে ধর্মীয় কাজ শেষে, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল আলোক চিত্র প্রদর্শনী, মৈত্রী পানি বর্ষণ এবং খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের এ উৎসবের সমাপ্তি করা হবে। পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতায় আমরা এবার এ উৎসব পালন করবো।’

সাংগ্রাই এর প্রস্তুতি বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বান্দরবানে পহেলা বৈশাখকেই ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী সাংগ্রাই বলে। এটা যেন আনন্দঘন পরিবেশে সুন্দরভাবে হতে পারে, নিরাপদে মানুষ যেন আসতে পারে, তারা যেন এগুলো সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারে ও নিরাপদে থাকতে পারে, সে জন্য এখানে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখানে থাকবে। এছাড়া চেকপোস্ট থাকবে, সার্বিক নিরাপত্তা সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে। লোকজনও তাদের এ উৎসব খুব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপভোগ করতে পারবেন।’

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি। উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। ত্রিপুরাদের বৈসু থেকে বৈ, মারমাদের সাংগ্রাই থেকে সা এবং চাকমাদের বিজু থেকে বি। এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষর নিয়ে পুরো পর্বত্য অঞ্চলে এটি ‘বৈসাবি’ নামে পালন করা হয়।

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিশ্বকাপে চোখ রেখে শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে চোখ রেখে শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলবে বাংলাদেশ
মগবাজারে হোটেলে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু: কেয়ারটেকার গ্রেফতার
মগবাজারে হোটেলে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু: কেয়ারটেকার গ্রেফতার
টিএসসির কোলাহলের পাশেই নিজ রিকশায় চিরনিদ্রায় চালক
টিএসসির কোলাহলের পাশেই নিজ রিকশায় চিরনিদ্রায় চালক
ডাবের পানি কত দিন পর্যন্ত ভালো থাকে?
ডাবের পানি কত দিন পর্যন্ত ভালো থাকে?
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট
বাংলাদেশ নিয়ে দিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে যা আলোচনা হলো
বাংলাদেশ নিয়ে দিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে যা আলোচনা হলো
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল