শীত আসলেই মজার মজার সব আচার বানানোর ধুম পড়ে যায়। তবে খাঁটি খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি আচারে যদি মাস না পেরোতেই বাসা বাধে ফাঙ্গাস, তবে তা দুঃখজনক বৈকি! সাধারণত টক জাতীয় ফলে পানি বা বাতাসের উপস্থিতিতে ইস্ট বা ছত্রাক জন্মায়। নষ্ট করে দেয় স্বাদ। কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে বছরজুড়ে আচার ফাঙ্গাসমুক্ত রাখা যাবে।
- আচার বানানোর আগে ফলগুলো ধুয়ে নিই আমরা। ধোয়ার পর ভালো করে পানি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। খুব ভালো হয় যদি সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া যায়।
- আচার বানানোর সময় স্টিলের বদলে কাঠের খুন্তি ব্যবহার করুন।
- তেল আচার ভালো রাখে দীর্ঘদিন। তাই প্রয়োজন মতো তেল দিতে হবে আচারে। সাধারণত আচারের ওপরে তেলের একটা আস্তরণ থাকে। এটি আচারে বাতাস ঢুকতে বাধা দেয়। ফলে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া টিকতে পারে না। আচার বয়ামে রাখার পর তেল যদি কমে যায়, তাহলে তেল গরম করে আচারে মিশিয়ে দিতে পারেন আবার।
- ভিনেগার প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। তাই আচার দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে ভিনেগার দিন বানানোর সময়।
- লবণও আচার ভালো রাখতে সাহায্য করে। সঠিক মাত্রায় লবণ না দিলে আচারে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাধতে পারে।
- হিং, হলুদ এবং মেথি পাউডারও খুব ভালো প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে।
- ব্যবহার করতে পারেন সোডিয়াম বেনজোয়েট অ্যাসিড। এটি দিলে আচার দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
- আচার সবসময় কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। প্লাস্টিকের বয়ামে আচার রাখলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যে পাত্রে আচার রাখবেন সেটি ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যেন পানি না থাকে।
- বেশি বড় বয়ামে আচার রাখবেন না। কারণ বারবার বয়াম খোলার কারণেও ফাঙ্গাস পড়ে যেতে পারে আচারে। ছোট ছোট বয়ামে রাখুন আচার।
- বয়াম থেকে আচার উঠানোর জন্য যে চামচ ব্যবহার করবেন সেটিতে যেন পানি লেগে না থাকে।
- আচারের বয়াম রোদে দিন মাঝে মাঝেই। এতে কমে যাবে ফাঙ্গাস লাগার ভয়।
- আচার ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে আচার।
তথ্য: বোল্ডস্কাই ম্যাগাজিন