X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

দুদকের ভুলে সাজা: ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবেন কামরুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৩৮আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৩৮

জালিয়াতির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘সরল বিশ্বাসে’ হওয়া ভুলের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াখালীর নিরাপরাধ কামরুল ইসলাম চাইলে দুদকের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করলে দুদককে তা বিবেচনা করতে বলেছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এছাড়াও আদালত তার রায়ে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভুল তদন্তে নোয়াখালীর নিরপরাধ কামরুল ইসলামের ১৫ বছরের সাজার রায় বাতিল করেন। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন আদালত। এ সময় দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতে কামরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে দুদকের ভুল তদন্তে নোয়াখালীর নিরপরাধ কামরুল ইসলাম ১৫ বছরের সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। এদিকে, হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে ভুলের কথা স্বীকার করেছে ক্ষমা চায় দুদক।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এসএসসির মার্কসিট ও সনদপত্রে জালিয়াতি করে নোয়াখালীর মাইজদী কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন পশ্চিম রাজারামপুর কামরুল ইসলাম। পরে জালিয়াতির ঘটনা নজরে আসায় কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে ২০০৩ সালে মামলা করেন শহীদুল ইসলাম। মামলার এজাহারে আসামির ঠিকানা ‘পশ্চিম রাজারামপুর’ থেকে হয়ে যায় ‘পূর্ব রাজারামপুর’। এরপর তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তদন্ত কর্মকর্তা (দুদকের উপপরিচালক) মাহফুজ ইকবাল এ মামলার তদন্ত করেন এবং ভুল আসামির বিরুদ্ধেই নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলা দায়েরের প্রায় ১০ বছর পর ২০১৩ সালে দুদক ওই চার্জশিট দাখিল করে। পরে আসামিকে পলাতক দেখিয়ে নোয়াখালীর বিচারক আদালতে শুরু হয় এর বিচারকার্যক্রম। এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে রায় দেন আদালত। জালিয়াতির অপরাধে মোট তিনটি ধারায় ভুল আসামিকে (পূর্ব রাজারামপুরের মো. কামরুল ইসলাম) পাঁচ বছর করে মোট ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

এদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিকে ধরতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন নোয়াখালীর আদালত। নামের মিল এবং ঠিকানার ভুলে গ্রেফতারি পরোয়ানা পৌঁছায় পূর্ব রাজারামপুরে। এরপর দিশেহারা কামরুল দ্বারস্থ হন আইনজীবীর। আইনজীবীর পরামর্শে মামলা ও পরোয়ানা থেকে বাঁচতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের পর ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চান এবং এ বিষয়ে রুল জারি করেন।

আরও পড়ুন-

দুদকের 'সরল বিশ্বাসে' জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

 

 

/বিআই/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজশাহী মহাসড়কে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য, তৈরি হচ্ছে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
রাজশাহী মহাসড়কে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য, তৈরি হচ্ছে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
কেমন কেটেছিল ডিবি হেফাজতে সাত সমন্বয়কের সাত দিন
কেমন কেটেছিল ডিবি হেফাজতে সাত সমন্বয়কের সাত দিন
চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার জাকির হোসেন সাময়িক বরখাস্ত
‘শাটডাউন’ কর্মসূচির জেরচট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার জাকির হোসেন সাময়িক বরখাস্ত
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণে হামাসকে আহ্বান করলেন ট্রাম্প
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণে হামাসকে আহ্বান করলেন ট্রাম্প
সর্বাধিক পঠিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
বেসরকারি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা যোগদানের দিন থেকে শুরু করতে হাইকোর্টের রুল
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন