জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুরুতর আহত তিন জনকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ ঘটনায় গেরুয়া বাজারে শিক্ষার্থীদের চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন স্থানীয়রা। পরে সাড়ে ৭টার দিকে এলাকাবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান।
ওই এলাকায় যে সব শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন তাদের আটকে রাখারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে হিমেল (সরকার ও রাজনীতি-৪৭তম ব্যাচ), নাসিম (ম্যানেজমেন্ট-৪৬ তম ব্যাচ), বিকাশ (জিওলজিক্যাল সায়েন্স-৪৫ তম ব্যাচ), ইয়াসিন আরাফাত (ম্যানেজমেন্ট-৪৩ তম ব্যাচ) ইপ্তি (নৃবিজ্ঞান), সোহাগ (ফিজিক্স- ৪৩ তম ব্যাচ), রুবেল (ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ-৪২ তম ব্যাচ), ও জুবায়েরের (সরকার ও রাজনীতি-৪৫ তম ব্যাচ) পরিচয় মিলেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ চলছে।আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। যেকোনও সময় তাদের উপর হামলা হতে পারে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ডা. মাহফুজ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের বেশিরভাগেরই মাথা, হাত, পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ছিল। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুই জনের অবস্থা গুরুতর, তাদের সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’
তবে ভিসি বলেন, ‘গেটের বাইরে আমার প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মীদের কিছু করার নেই।’
তিনি পুলিশ পাঠানোর জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছেন বলে জানান। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাথা ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।