X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নেহার জামিন নামঞ্জুর

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৭ মার্চ ২০২১, ১৪:৪৩আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২১, ১৪:৪৩

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ভুক্তভোগী তরুণীর বান্ধবী নেহার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে আসামি নেহার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার পুলিশের এএসআই ফারুক হোসেন এসব তথ্য জানান।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নেহাকে ওই তরুণীর ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে মামলায় এজাহারভুক্ত করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্র জানায়, ২৮ জানুয়ারি মদ্যপানের পর থেকে নেহাও অসুস্থ ছিল। তবে গ্রেফতারের সময় সে মোটামুটি সুস্থ ও সবল ছিল। সেদিন তারা যে মদ পান করেন, তা নেহার ছেলেবন্ধু কিনে এনেছিলেন।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর একটি পার্টিতে মদ পানের পর রহস্যজনক মৃত্যু হয় ওই শিক্ষার্থীর। এ ঘটনায় একটি মামলা করেন নিহত তরুণীর বাবা। মামলার এজাহারে ওই তরুণীকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ করা হয়। এতে সহযোগী হিসেবে চার জনের নাম উল্লেখসহ মোট পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন—ওই তরুণীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১); মামলায় যাকে ধর্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য চার সহযোগীর মধ্যে তিন জন হচ্ছেন—নুহাত আলম তাফসির (২১), আরাফাত (২৮) ও নেহা (২৫)। আরেক বন্ধুর নাম জানা যায়নি। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে তাকে রাখা হয়েছে। এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে আরাফাত নামে একজন মারা গেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী (তরুণ) উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদ পান করান।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। তাদের চোখের সামনেই ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খান কোকোকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৩১ জানুয়ারি তরুণী মারা যান।

 

 

/এমএইচজে/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ