X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুবিতে উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলার তদন্ত শেষ হয়নি দুই মাসেও

কুবি প্রতিনিধি
১২ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৫৭আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৫৭

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের চূড়ান্ত পরীক্ষার উত্তরপত্র হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত শেষ হয়নি প্রায় দুই মাসেও। ২০২০ সালের ১ মার্চ শেষ হয়েছিলো এই কোর্সের পরীক্ষা।

কিন্তু ঘটনাটি  সামনে আসে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সে কমিটি এখনও তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি।

এদিকে এভাবে খাতা হারিয়ে  যাওয়ার ফলে ফলাফল আটকে থাকায় অনিশ্চয়তায় সময় কাটছে ওই সেশনের শিক্ষার্থীদের।  উত্তরপত্র না পাওয়া ও এই ঘটনার কোনও সুরাহা না হওয়ায় তারা হতাশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘উত্তরপত্র কীভাবে হারিয়ে যায় এটা আমি ভেবে পাই না। দুশ্চিন্তায় আছি। এমনিতেই করোনায় অনেক পিছিয়ে গেছি। এখন আমরা আরেক সমস্যায় পড়লাম।’

তবে এখনো তদন্ত কাজ আটকে যাওয়ার পেছনে লকডাউনকে দায়ী করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তদন্ত কার্যক্রম আটকে যাওয়ার ব্যাপারে কমিটির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে আমি মিটিং করেছি, এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, বেশ কিছু জায়গায় খোঁজ-খবরও নিয়েছি। এখন আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে, ঐ বিভাগে খোঁজা দরকার। এরপর আমি পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারবো। কিন্তু এর মধ্যে তো লকডাউন শুরু হয়ে গেল!'

কবে নাগাদ এই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'এই লকডাউনে কোনও শিক্ষক আসতে না চাইলে তো তাকে আমরা জোর করে ক্যাম্পাসে আনতে পারি না। তবে লকডাউন শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা দুই একটা মিটিংয়ের মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো।'

এসময় রেজিস্ট্রার দফতর থেকে চিঠি আসতে দেরি হওয়ায় তদন্ত কমিটির কার্যক্রমেও এর প্রভাব পড়েছে বলে জানান তিনি।

তবে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের এই অভিযোগের ব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘খাতা হারানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত যতক্ষণ পর্যন্ত সিন্ডিকেটে অনুমোদন না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত চিঠি দেওয়া যায় না। আর একাডেমিক কাউন্সিল হয়েছে সিন্ডিকেটের প্রায় ১৫-২০ দিন আগে। তাই এখানে ১৫-২০ দিন দেরি হয়ে গেছে।’

তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরী তদন্ত কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, ‘এখন তো লকডাউন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তবে আমরা ইতোমধ্যে দুটো মিটিং করেছি। আমাদের প্রাথমিক কাজ শেষ। লকডাউন শেষে বাকিটা দেখা যাবে।’

এদিকে বিষয়টি তদন্তাধীন উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি গণিত বিভাগের প্রধান খলিফা মোহাম্মদ হেলাল। 

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ‘এমটিএইচ-২২১: রিয়েল এনালিসিস-২’ নামক কোর্সের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার উত্তরপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। যে কোর্সের শিক্ষক ছিলেন প্রভাষক মো. আতিকুর রহমান।

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘আর্টিফিশিয়াল রেইন’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘আর্টিফিশিয়াল রেইন’ পরিকল্পনা
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি