ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সদর মডেল থানায় আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে এই দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এই দুটি মামলা নিয়ে তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়।
এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৫টি, আশুগঞ্জ থানায় ৩টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি।
মোট ৫১টি মামলায় এজাহারে ২৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এই পর্যন্ত (সোমবার রাত পর্যন্ত) মামলার ১৬৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, গতকাল সোমবার রাতে সদর মডেল থানায় আরও দুটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে সদর মডেল থানায় ৪৫টি আশুগঞ্জ থানায় ৩টি, সরাইল থানায় ২টি সহ ৫০টি মামলা হয়েছে। এছাড়া আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি জানান, পুলিশ ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে আসামিদের গ্রেফতার করছে। এছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। এদের অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক। এছাড়াও গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছাত্রদল, যুবদল ও ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মী রয়েছে।
তিনি বলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। এসময় হামলাকারীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।