গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মালবোঝাই কাভার্ডভ্যানের চাপায় অটোরিকশায় থাকা এক শিক্ষক পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান, বাকি তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অটোরিকশাটির চালক ও শিশুসহ আরও তিনজন। ঘটনার পর ঘাতক কভার্ডভ্যানটি আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে স্থানীয়রা।
রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত কালিতলা মাজার এলাকায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আনিছুর রহমান, তার মা রেহেনা বেগম, স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও শ্যালক জাহিদ মিয়া। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনিছুর রহমান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর ছেলে। শ্যালক জাহিদ মিয়া একই উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
নিহত আনিছুর রহমান মাস্টার গোবিন্দগঞ্জে শহরে তার একমাসের শিশু সন্তানকে ডাক্তার দেখিয়ে অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কাভার্ডভ্যানটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে কালিতলা মাজার এলাকায় একটি মালবোঝাই কাভার্ডভ্যান ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটো রিকশাটি উল্টে দুমড়ে-মুচড়ে গেলে অটোতে থাকা ৭ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসক জাহিদ নামে একজনের মৃত্যুর ঘোষণা দেন। এরপর গুরুতর অবস্থায় আনিছুর রহমান, তার মা ও স্ত্রীকে রংপুর ও বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে পথেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. মজিদুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত তিনজনকে বগুড়া ও রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া আহত এক শিশুসহ দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় কাভার্ড ভ্যানটিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের লাশ তার স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।