লকডাউনের মধ্যে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের বড় উল্লম্ফন হয়েছে। এর মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই মূল্য সূচক বাড়লো। মূল্য সূচকের টানা উত্থানের পাশপাশি লেনদেনেও ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১২শ’ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে চার মাসের মধ্যে বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।
প্রসঙ্গত, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে প্রথম লেনদেন হয়। ওইদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক বাড়ে ৫১ পয়েন্ট। দ্বিতীয় কার্যদিবস রবিবার সূচকটি বাড়ে ২১ পয়েন্ট এবং তৃতীয় কার্যদিবস সোমবার বাড়ে ১৮ পয়েন্ট। আর চতুর্থ কার্যদিবস মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪২১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধের চার কার্যদিবসে ডিএসই প্রধান সূচক বাড়ল ১৬১ পয়েন্ট।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এর মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের এই উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক খাত। তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ১৮টি দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ছয়টির। আর সব খাত মিলিয়ে ১৯৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৮টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মূল্য সূচকের উত্থানের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৯৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ৬০২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর ফলে চলতি বছরের ২৫ মার্চের পর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৩টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৭৬টির। তবে ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।