X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ পাহারায় ধান কাটছেন কৃষকরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
০১ মে ২০২১, ১৬:৪১আপডেট : ০১ মে ২০২১, ১৯:১৫

কিশোরগঞ্জ জেলার প্রতিটি গ্রামে এখন ধান কাটার উৎসব। কিন্তু তার মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল ভৈরব উপজেলার দুটি গ্রাম খলাপাড়া ও লুন্দিয়া। টানা ১৩ দিন এ গ্রাম দুটি ছিলো পুরুষশূন্য। সারাদেশে কৃষকরা ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠলেও এ গ্রামের ধানক্ষেতগুলো ছিল বিমর্ষ। সেখানে এতদিন ছিল না উৎসবের আমেজ।

অবশেষে পুলিশ পাহারায় গ্রামের কৃষকরা ফিরে এলেন তাদের জমিতে। আনন্দভরা মন নিয়ে কাটছেন ধান। কোন ভয়ভীতি ছাড়া নিজেদের জমির ধান কাটতে পেরে আনন্দিত তারা। আর নিরীহ কোন পুরুষ হয়রানির শিকার হবে না- পুলিশের কাছে বিষয়টি আশ্বস্ত হওয়ার পর একে একে বাড়ি ফিরছেন সবাই।

গত ১৭ এপ্রিল জেলার ভৈরব উপজেলার খলাপাড়া ও লুন্দিয়া গ্রাম দুটিতে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন দুজন এবং আহত হন দুই গ্রামের প্রায় অর্ধশত এলাকাবাসী। যে কারণে মামলার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে এ গ্রাম দুটি। ক্ষেতে পাকা ধান পড়ে থাকলেও কাটার কোন মানুষ ছিল না। যে কারণে গ্রামের গৃহিণীরা ছিলেন বেশ আতঙ্কে।

কিন্তু এবার পুলিশ প্রহরায় ধান কাটা উৎসবে মেতেছেন গ্রাম দুটির কৃষকেরা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকরা পুলিশ প্রহরায় জমির ধান কেটে মাড়াই করে তাদের ঘরে তুলছেন। যতদিন পর্যন্ত কৃষকদের ধান কাটা শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত পুলিশের উপস্থিতিতে ধান কাটা অব্যাহত থাকবে।

ভৈরব থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে জানানো হয়, মামলার আসামি ছাড়া কোনো নিরীহ মানুষকে পুলিশ গ্রেফতার করবে না। প্রয়োজনে পুলিশ কৃষকদের নিরাপত্তা দেবে। এরই মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, কৃষি বিভাগ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ধান কাটার ব্যবস্থা করেছে। জমির মালিকরাও প্রশাসনের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে উপস্থিত থেকে ধান কাটছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতির বিষয়টি আশ্বস্ত করেছে পুলিশ। তারপর কৃষকদের তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন এবং ধান কাটার উৎসবে অংশগ্রহণ করিয়েছেন। বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, যারা মামলার আসামি নন, তাদের কোনো ভয় নেই। কৃষি বিভাগের অনুরোধে পুলিশের উপস্থিতিতে কৃষকরা নির্বিঘ্নে নিরাপদে ধান কাটছেন। যতদিন জমিতে পাকা ধান থাকবে, ততদিন পুলিশ উপস্থিত থেকে ধান কাটতে সহযোগিতা করবে। তাছাড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয়, তাই পুলিশ সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থাকবে।

 

/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না