জাতীয় সংসদের পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সরকার দলীয় সংসদ সদস্য একেএম আবদুল আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ কেন অবৈধ, বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আউয়াল দম্পতির করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (৬ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে আউয়াল দম্পতির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। আউয়ালের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুদকে দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ করা হয়েছে। আর তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়।
এই দুটি মামলায় দুদকের আবেদনে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত গত ১৭ জানুয়ারি এক আদেশে আউয়াল দম্পতির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে একটি আবেদন জানালে তাও খারিজ হয়ে যায়। এরপর একই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, একেএম আবদুল আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে টানা দুই বার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।