এখনও ভারতীয় ফুটবলের বড় বিজ্ঞাপন সুনীল ছেত্রী। প্রায় দেড় যুগ ধরে জাতীয় দলে সুনামের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন। যার ফলে ৩৬ বছর বয়সেও ভারতীয় দলে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। প্রতিপক্ষের বক্সে বল পেলে তাকে রোখা অনেকটাই কঠিন।
আগামীকাল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কাতারের দোহাতে সেই ম্যাচে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের বড় আতঙ্কের নাম এই সুনীল ছেত্রী। যদিও অ্যাওয়ে ম্যাচে এই বর্ষীয়ান স্ট্রাইকারকে ‘বোতলবন্দি’ করে রাখা হয়েছিল। তাই এবারও এই প্রশ্ন উঠেছে। ছেত্রীকে আটকাতে পারবে তো বাংলাদেশ?
অবশ্য বাংলাদেশের রক্ষণ দুর্গ ভেদ করে এগিয়ে যাওয়া যে সহজ নয়, তা আগের ম্যাচেই পরিষ্কার হয়েছে। এর পরেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বলে ছেত্রীকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা থাকবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। দেশের রক্ষণের মূল স্তম্ভ তপু বর্মণ বাংলা ট্রিবিউনের কাছেও তেমনটি বললেন, ‘সুনীল ছেত্রী ভালো স্ট্রাইকার। ওর বিপক্ষে আগেও আমি গোয়াতে খেলেছি। তবে তাকে আটকানো সম্ভব। শুধু ও একা নয়। আমাদের রক্ষণভাগ অটুট রাখার জন্য যা যা করার দরকার, তাই করবো। ছেত্রী ছাড়াও এবার কাউকে গোল করতে দেবো না।’
ভারতের হয়ে ১১৫ ম্যাচ খেলে ৭২টি গোল ছেত্রীর। আন্তর্জাতিক স্তরে রোনালদোর পরই দেশের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড তার। এছাড়া আই লিগের পর আইএসএলেও দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন।
এরই মধ্যে ভারতের খেলার ভিডিও দেখে বিশ্লেষণ চলছে। উইং দিয়ে কীভাবে ওরা আক্রমণে উঠে, বল পায়ে পেলে ছেত্রী কীভাবে ভয়ংকর হয়ে উঠার চেষ্টা করে। এসব খুঁটিনাটি মগজে গেঁথে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। রণ কৌশল নিয়ে তপু বলেছেন, ‘আমরা সেভাবেই প্রস্ততি নিচ্ছি। এবার আর কোনও ভুল করা চলবে না। প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগ দেওয়া যাবে না। ওরা উইং দিয়ে আক্রমণ শাণাতে চেষ্টা করে। আমরা সেটা আটকে দেবো। এর জন্য গোলকিপার, ডিফেন্স ও মধ্যমাঠের মধ্যে সমন্বয়টা আরও ভালো হতে হবে। এমনকি আমাদের যারা ওপরে খেলে থাকেন, তাদেরও সহায়তা লাগবে।’
ছেত্রীকে নিয়ে ভয়ের আরও কারণ আছে। সবশেষ ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে জিততে জিততে ড্রয়ের অন্যতম কারণ এই ছেত্রী। বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি। ছেত্রীর গোলে ভারত সমতা ফেরায় ম্যাচে। তাই সতর্ক হয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা জামাল-রিয়াদুলের।
আফগানিস্তান ম্যাচের গোলদাতা তপু দলকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে ম্যাচ মানেই অন্যরকম আবহ। ওদেরকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মাঠে দুই দলের লড়াইয়ে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। আমরাও জেতার জন্য মাঠে নামবো। পয়েন্ট পেলে তখন আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।’