রেকর্ডের ডালি সাজিয়ে হয়েছে তার টেস্ট অভিষেক। লর্ডসে টেস্ট ইতিহাসের পাতা নতুন করে খুলে ক্রিকেট বিশ্বকে ডেভন কনওয়ে জানান দিয়েছেন ‘লম্বা রেসের ঘোড়া’ তিনি। ক্রিকেট তীর্থে বিদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করা নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানের রেকর্ডের গাড়ি চলছেই। আইসিসির প্রকাশিত নতুন র্যাংকিংয়ে নিউজিল্যান্ডের অভিষেক ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট তোলার কীর্তি গড়েছেন কনওয়ে।
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে নিজের সামর্থ্য আগেই দেখিয়েছিলেন কনওয়ে। তারই পুরস্কার হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয়ে যায় তার। লর্ডসে নেমেই দেখালেন লাল বলের ক্রিকেটে তার ম্যাজিক। সফরকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেট তীর্থে সর্বোচ্চ ইনিংস গড়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন আরও উঁচুতে। পেয়েছেন অভিষেকে প্রথম কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি। ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেকে যা তৃতীয় ডাবলের কীর্তি।
কনওয়ের ২০০ রানের ইনিংস খেলার প্রতিফলন ঘটেছে আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়ে। ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে কনওয়ের অবস্থান ৭৭ নম্বরে। তবে কীর্তিটা তার অন্য জায়গায়। অভিষেক ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রেটিং এখন তার। ইংলিশদের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করা কনওয়ের রেটিং পয়েন্ট ৪৪৭। ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেকে সর্বোচ্চ রেটিংয়ের তালিকায় তৃতীয়।
তার আগে অভিষেক ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজন। ইংল্যান্ডের টিম ফস্টার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স। ১৯০৩ সালে সিডনিতে ফস্টারের খেলা ২৮৭ রান অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংস। তার ৪৪৯ রেটিং পয়েন্টও অভিষেক ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ। এরপরই আছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ডময় ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস খেলা মায়ার্সের ৪৪৮ রেটিং পয়েন্ট।
টেস্ট র্যাংকিংয়ের সেরা দশে কোনও পরিবর্তন হয়নি। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন কেন উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় স্থানে স্টিভেন স্মিথ।
বোলিং র্যাংকিংয়ের সেরা দশে অবশ্য পরিবর্তন এসেছে। লর্ডসের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া টিম সাউদি উঠে এসেছেন ক্যারিয়ারসেরা তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত ওলি রবিনসন লর্ডসে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে বোলারদের র্যাংকিংয়ে পেয়েছেন ৬৯তম স্থান।