প্রতিবছরই ঈদুল আজহা এলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কোরবানির পশু। দৈহিক আকৃতি ও দামের কারণে কিছু কিছু কোরবানির গরু হয় শিরোনাম। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। ইতোমধ্যেই খুলনায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর সন্ধান পাওয়া গেছে; যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিতাবাঘ’।
গরুটির মালিক খুলনার তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের কায়নাথ শিকদার। তার দাবি, এর দৈর্ঘ ৬ ফুট। বয়স সাড়ে ৪ বছর। স্বাভাবিক খাবার খায়। ওজন ২৬ মণ ১৯ কেজি (১০৫৯ কেজি)। চার দাঁত।
গরুটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি। বাজারে তোলার আগেই চট্টগ্রামের এক ব্যাপারী ছয় লাখ টাকা দাম হেঁকেছেন বলে জানান মালিক কায়নাথ শিকদার।
ইতোমধ্যেই এই ‘চিতাবাঘ’কে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে খুলনার তেরখাদায়। কেউ কেউ বলছেন, এটিই এবার জেলার অন্যতম বড় গরু হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত গরুটি কোনও হাটে তোলা হয়নি। বাড়িতে থাকা অবস্থাতেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
গরুর মালিক বলেন, ‘নিজস্ব গরু ফ্রিজিয়ান ক্রস ব্যবহার করে দুটি গরু উৎপাদন করেন। যার একটি বকনা ও একটি এই ষাঁড়। বকনাটি এখন দুধ দেয়। ষাঁড়টির বয়স সাড়ে চার বছর। এটির এখন পর্যন্ত চার দাঁত। এ ধরনের গরু আট দাঁত পর্যন্ত হয়ে থাকে। গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ২৭ মণ। স্বাভাবিকভাবে এ জাতের গরু ২৮-৩০ মণের হতে পারে।’
তিনি জানান, গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিকভাবে খড়, ভুসি, গম, খৈলসহ প্রাকৃতিক খাবারই দিয়েছেন। মোটাতাজা করতে বিশেষ কোনও পদ্ধতি তিনি ব্যবহার করেননি। গরুটি তিনি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে আগ্রহী। ক্রেতা এলে ১২-১৩ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন। কোরবানি উপলক্ষে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। চট্টগ্রাম থেকে আসা একজন গরুর বেপারি এটির দাম ছয় লাখ টাকা বলেছেন। তিনি ১০ লাখ টাকার জন্য অপেক্ষা করছেন।
নাম ‘চিতাবাঘ’ কেন- জবাবে তিনি বলেন, ‘গরুটা যখন মাঠে নিতাম অন্যান্য গরুর সঙ্গে লড়াই হয়। কোনও গরুই এর সঙ্গে লড়াইয়ে টেকে না। এর হুংকারও বাঘের মতো। এ কারণেই চিতাবাঘ নাম রাখি।’