X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে উঠতে শঙ্কিত ভূমিহীনরা

বগুড়া প্রতিনিধি
০৮ জুলাই ২০২১, ২১:১২আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২১, ২১:১২

বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে দরিদ্র মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের বাড়িগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ঘর পাওয়া ভূমিহীনদের অনেকের অভিযোগ, ঘর নির্মাণে স্থান নির্ধারণে ভুল, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় পিলার ভেঙে পড়ছে। মেঝে ও দেয়ালে ফাঁটল ধরছে। টিন চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। পলেস্তরা খসে পড়ছে। কোনও কোনও বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা নেই। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এসব বাড়িতে ভূমিহীনরা উঠতে সাহস করছেন না। এসব বাড়িতে উঠতে না চাওয়ায় তাদের সাত দিনের নোটিশ করা হয়েছে। অন্যথায় বরাদ্দ বাতিলের কথা বলায় তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পায়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এই টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, দুটি ঘর, একটি টয়লেট, একটি স্টোর রুম ও বারান্দা। চারদিকে ইটের দেওয়াল এবং ওপরে সবুজ রঙের টিনের ছাদ রয়েছে। দুই শতাংশ খাস জমির ওপর এসব ঘর নির্মাণ করা হয়। ঘর ভূমিহীনদের মাঝে বুঝে দেওয়া হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে।

পিলার ভেঙে পড়ছে ঘর পাওয়া ভূমিহীনরা জানান, ছয় মাসের মধ্যেই উপজেলার গোছন ও গোপালপুর পুকুরপাড়ের অনেক ঘরের দেয়াল, মেঝে ও বারান্দার পিলারে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। রাস্তা না থাকায় দাসগ্রাম পুকুরপাড়ে ১৭টি নির্মাণ করা ঘরে কেউ এখনও ওঠেননি। পরিত্যক্ত এসব বাড়ি মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। গোপালপুর পুকুরপাড়ের সুবিধাভোগী জালাল মণ্ডলের বাড়ি এখনও ফাঁকা রয়েছে। বারান্দার পিলার ভেঙে পড়লে সেটা দ্রুত মেরামত করা হয়েছে। রিয়াজ উদ্দিন, শাহীনুর, হালিমা বিবি, আশরাফ আলীসহ অনেকে জানান, তাদের বেশ কয়েকটি ঘরের মেঝেতে ফাঁটল ধরেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। ঘরগুলো ধসে পড়তে পারে এই ভয়ে তারা পরিবার নিয়ে উঠতে ভয় পাচ্ছেন।

তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘কোনও ঘরের বারান্দার পিলার ভেঙে পড়েনি। কেউ ঠেলা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। যে ঘরগুলো একটু ফাঁটল ধরেছে, সেগুলো মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত জানান, তার সময়ে কাজগুলো করা হয়নি। কোনও ঘরে ফাঁটল বা পিলার ভেঙে পড়েনি। অনেক বাড়ি এখনও ফাঁকা রয়েছে। সুবিধাভোগীরা না ওঠায় পড়ে থেকে কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়া ফাঁকা বাড়িগুলো যাদের নামে বরাদ্দ তাদের সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বরাদ্দ বাতিল করে অন্যদের দেওয়া হবে।

এদিকে শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর বুড়িগাড়ি এলাকায় খালের কিনারায় ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২২টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়। গত জানুয়ারিতে বাড়িগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। খালের মাটি সরে যাওয়ায় গত ২২ জুনের আগে সাতটি বাড়ির বাথরুম ও রান্নাঘর ভেঙে পড়ে। উপজেলা প্রশাসন ঘরগুলো সংস্কার করছে। এ ব্যাপারে অবহেলা ও দুর্নীতির দায়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে নির্মাণ কমিটির সভাপতি ও শেরপুর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখকে ওএসডি করেছে। জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, নির্মাণ কমিটির অন্যরাও দায় এড়াতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/এমএএ/
সম্পর্কিত
কোথাও যাতে ভোক্তাদের হয়রানি না হয়, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের অর্ধেক জেলা সম্পূর্ণ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত
বিএনপি-জামায়াতের সুমতি হোক, অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক: প্রধানমন্ত্রী
সর্বশেষ খবর
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ