গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় দাদন ব্যবসায়ী কাঞ্চনকে প্রধান আসামি করে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে সদর থানায় মামলাটি করেন রকির বড় ভাই আতিকুর রহমান সরকার। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন প্রধান আসামি কাঞ্চনসহ তার সহযোগীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এতে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন আসামিরা। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা রকিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। তবে পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে, রকি হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজন, দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী। তারা বলছেন, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ছাত্রনেতা রকি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। এছাড়া রকি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে শোকসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের পূর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে দিয়ে আশিকুর রহমান রকিসহ তিন জন মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ করে তাদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছুরিকাঘাতে রকিসহ তিন জন আহত হন। তাদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রকিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে রকির মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। বাদ আছর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে লাশ দাফন করা হবে।