চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ডেঙ্গুতে যত রোগী আক্রান্ত হয়েছেন তার প্রায় দ্বিগুণ রোগী আক্রান্ত হয়েছেন চলতি জুলাই মাসের ১৬ দিনেই।
আজ শুক্রবার ( ১৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
কন্ট্রোল রুম জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে নয় জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিন জন, মে মাসে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন আর চলতি জুলাইয়ে ১৬ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৬ জন।
অর্থ্যাৎ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩৭২ জন আর মধ্য জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৬ জন। যা কিনা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
কন্ট্রোল রুম জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ জন। তাদের সবাই ঢাকার।
দেশে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩১৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩১৪ জন আর বাকি চারজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে।
ডেঙ্গুতে রোগী বাড়ছে একাধিকবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, জুন মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৭১ জন। ঢাকায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। কিন্তু ঢাকার বাইরেও ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা ৩২ জন। জানুয়ারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ৮১২ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মশারি ব্যবহার করতে হবে। জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।’
‘ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি এবং সরকারি ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি’, বলেন তিনি।
অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘পুরো ঢাকার কথা চিন্তা করলে অনেকেই ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কারও কারও শারীরিক অবস্থা আইসিইউতে যাওয়ার মতো হয়েছে। সেই জন্য আমাদের খেয়াল করতে হবে, কীভাবে আমরা এটা প্রতিরোধ করবো। ডেঙ্গু রোগী করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।’