ওয়ানডে ক্রিকেটে গত ৮ ইনিংস ধরে রান খরায় ভুগছিলেন লিটন দাস। ওই ৮ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২৫! তবে শুক্রবার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সেই খরা কাটালেন দারুণ এক সেঞ্চুরিতে। শুধু কি তাই, লিটনের ১০২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই সফরকারীরা জিতেছে ১৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। কিন্তু এতদিন এই ফর্ম কোথায় ছিল? ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে লিটন জানালেন, করোনারা কারণেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি!
করোনার আগে অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে দুই সেঞ্চুরিতে ৩১১ রান করেছিলেন লিটন। এর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ ম্যাচের একটিতে ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। মূলত করোনার প্রকোপেই ব্যর্থতার জাল ছিন্ন করতে পারছিলেন না! এক প্রশ্নের জবাবে তেমনটাই বলেছেন তিনি, ‘আমার চাওয়া তো সবসময়ই রান করা। কিন্তু কোভিডের আগে আমি একটা ভালো অবস্থায় ছিলাম। হয়তো করোনা না এলে এই মুহূর্তে আমার সেই ফর্মটা থাকতো। ওই সময় বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। কারণ মাথায় অনেক চিন্তা ছিল যে পারফর্ম করতে হবে, পরিস্থিতিও কঠিন ছিল। এভাবে দেখতে দেখতে আটটা ইনিংস চলে গেছে।’
ব্যর্থতার এই সময়টাতে যাদের সমর্থন পেয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ দিতে ভুলে যাননি লিটন। বিশেষ করে স্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন এভাবে, ‘চেষ্টা করেছি যত ইনিংসই খেলিনা কেন, যেন ভালো করতে পারি, দলকে কিছু দিতে পারি। পাশাপাশি বড়রা সমর্থন দিয়ে গেছেন, পরিবার বিশেষ করে স্ত্রীর কাছ থেকে সমর্থন এসেছে।’
অবশ্য এই ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করতে বেশ কষ্ট হলেও লিটন বলছেন উইকেটে ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল, ‘আজকে কন্ডিশন ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। প্রথম ২০ ওভার আবহাওয়া ও ওদের বোলারদের বোলিং মিলিয়ে কঠিন কন্ডিশন ছিল। আমি এমনিতেও ম্যাচের আগে একটু চাপে ছিলাম, অনেকদিন ধরে বড় রান করতে পারছি না, পাশাপাশি উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে যখন দেখছিলাম উইকেট পড়ছে, দলকে একটা ভালো অবস্থানে নেওয়ার দায়িত্ব আমার ছিল। সব মিলে আমি ওখানে কিছু কাজ করেছি যে, উইকেটে থাকতে হবে। চেষ্টা করেছি ২০-২৫ ওভার পর্যন্ত টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে যেতে।’