কোরবানির পশু পরিবহনে বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালনা করছে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। রাজশাহী থেকে বিশেষ এ সার্ভিস চালু হলেও বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের পশু পরিবহনেও চালু হয়েছে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। জামালপুর থেকে চলাচল করা ট্রেন দুটিতে কোরবানির পশু আসছে ঢাকায়। এতে কোনও ভোগান্তি বা ঝক্কি-ঝামেলা না থাকায় নিরাপদ ও কম খরচে পশু পরিবহন করতে পারছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
গরু খামারি ও গরু ব্যবসায়ী বারেক মন্ডল, ওয়াজ উদ্দিন, সুলতান বেপারী, আকবর আলী ও সামাদ মিয়া জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুরের খামারি ও প্রান্তিক চাষিরা কোরবানির পশু লালন-পালন করে থাকেন। কিন্তু ভালো ও বেশি দাম পেতে কোরবানির পশু ঢাকায় নিয়ে যেতে তাদের অনেক কষ্ট ও নানা রকম হয়রানির মুখে পড়তে হয়। সড়কে ট্রাক বা অন্যান্য যানবাহনে করে পশু পরিবহন করে ঢাকায় নিয়ে যেতে যেমন অনেক টাকা খরচ হয়, তেমনি রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। তার ওপর রয়েছে পথে পথে চাঁদাবাজির অভিযোগ।
এছাড়াও যানযটের কারণে দীর্ঘ সময় গাড়িতে করে পশু পরিবহন করায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এতে সুস্থ পশুটিও অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই বাংলাদেশ রেলওয়ে খামারি ও প্রান্তিক চাষিদের কোরবানির পশু সহজে পরিবহনের সুবিধার জন্য ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু করে।
জানা যায়, জামালপুর থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেনে করে পরিবহন করা হয় প্রায় আটশ’ গরু। শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুরের ইসলামপুর রেলস্টেশন থেকে ২৫টি ওয়াগনে মোট চারশ’ গরু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় প্রথম ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। এরপর শনিবার শেষ রাতেই দ্বিতীয় ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের ২৩টি ওয়াগনে করে আরও গরু আসে। দ্বিতীয় ট্রেনটিতে ইসলামপুর থেকে ১৮, মেলান্দহ থেকে তিন ও ময়মনসিংহ থেকে দুটি ওয়াগনে মোট ৩৬৪টি গরু নিয়ে যান ব্যবসায়ী, খামারি ও কৃষকরা।
জামালপুর টাউন রেলওয়ে জংশন স্টেশনের মাস্টার শেখ উজ্জ্বল মাহমুদ জানান, ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিসে পরিবহন খরচ অত্যন্ত কম ও নিরাপদ। ইসলামপুর থেকে প্রতিটি ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে আট হাজার টাকা। প্রতিটি ওয়াগনে ১৬টি করে গরু পরিবহন করা যায় বলে জানান তিনি। এতে কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু পরিবহন করে লাভবান হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।