X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের বন্ধু সায়মন ড্রিং মারা গেছেন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ জুলাই ২০২১, ১৫:২১আপডেট : ২০ জুলাই ২০২১, ১৬:২৬

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং মারা গেছেন। ‘দ্য ইস্টার্ন লিংক’র সুবীর ভৌমিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাবের ট্রেজারার সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউন‌কে জানান, সায়মন ড্রিং অসুস্থ অবস্থায় গত শুক্রবার রুমা‌নিয়ার এক‌টি হাসপাতা‌লে মারা গে‌ছেন। কিছু‌দিন ধ‌রে তি‌নি রুমা‌নিয়ায় বসবাস কর‌ছি‌লেন। হা‌র্নিয়ার অপা‌রেশনের পর হাসপাতা‌লে তিনি হৃদ‌রো‌গে আক্রান্ত হন।

এদিকে সায়মন ড্রিং-এর বাংলাদেশের সহকর্মী রুমি নোমান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তাকে স্মরণ করেছেন। তিনি একটি স্থিরচিত্রের সঙ্গে ক্যাপশন জুড়ে দেন। লিখেন, ‘হৃদয়বিদারক খবর, কিংবদন্তি সাংবাদিক ও বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু সায়মন ড্রিং আর নেই...’

রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে সায়মন ড্রিং দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এ ছাড়া বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। 

বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় সাইমন ড্রিংয়ের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় দুইশ বিদেশি সাংবাদিককে আটকে ফেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। তাদের হোটেল থেকে সরাসরি বিমানে তুলে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয় যাতে গণহত্যার কোনও খবর সংগ্রহ করতে না পারে বিশ্ব গণমাধ্যম। তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং। পাকিস্তানি সামরিক আইন না মেনে তিনি হোটেলে লুকিয়ে পড়েন। শ্বাসরুদ্ধকর ৩২ ঘণ্টা সময় কাটে হোটেলের লবি, ছাদ, বার, কিচেনের মত জায়গায়। পরবর্তীতে তার তথ্য থেকেই বিশ্ব জানতে পারে গণহত্যার বাস্তব চিত্র। ২৭ মার্চ কারফিউ উঠে গেলে সায়মন ড্রিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখেন।

১৯৭১ এর ৩০ মার্চ লন্ডনে ফিরে যেতে বাধ্য হলেও আবারও ফিরে আসেন বন্ধুদেশে, সাংবাদিকতার স্বপ্ন নিয়ে। গড়ে তোলেন দেশের প্রথম আধুনিক বেসরকারি টিভি একুশে টেলিভিশন। ২০০২ সালে সে সময়ের সরকার তাকে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করে। এরপর আবার ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আসেন সায়মন। বার বার এই বন্ধু ফিরে এসেছেন নানা স্বপ্ন বুনতে। মানসম্মত ও পেশাদার সাংবাদিক, কলাকুশলীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তৈরি করেন অনেক নাম করা সংবাদকর্মী।

সাইমন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। বিশ্ব আজ স্মরণ করছে এই বন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধায়।

 

/ইউআই/এনএইচ/
সম্পর্কিত
বিলেতে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন নতুন আসা বাংলাদেশিরা: কমিউনিটিতে প্রতিক্রিয়া
ইরানে পাল্টা হামলা না চালাতে ইসরায়েলকে ক্যামেরনের আহ্বান
কিছু আরব দেশ কেন ইসরায়েলকে সাহায্য করছে?
সর্বশেষ খবর
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন